তিউনিসিয়ায় বিতর্কিত নতুন সংবিধান প্রণয়নের বিষয়ে সোমবার অনুষ্ঠিত গণভোটের পর, প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদ এবং তার সমর্থকরা তাদের বিজয় উদযাপন করছে। ওই গণভোটে ভোটার উপস্থিতি ছিল খুবই কম এবং বিরোধীরা এই ফলাফল মেনে নেয়নি।
তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদ উল্লসিত সমর্থকদের সাথে দেখা করে, তার দেশকে একটি নতুন "পর্যায়ে" নিয়ে যাবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি সোমবারের গণভোটের ফলাফলকে একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত বলে অভিহিত করে বলেছেন, সমগ্র বিশ্বের জন্য এটি শিক্ষণীয়।
কিন্তু, প্রেসিডেন্ট সাইদের রাজনৈতিক বিরোধীরা, যারা তাদের সমর্থকদের ভোট বর্জন করার আহ্বান জানিয়েছিলেন, তারা বিষয়গুলোকে ভিন্নভাবে দেখছেন।
হার্ট অফ তিউনিসিয়া পার্টির সভাপতি এবং তিউনিসিয়ার বর্তমানে বিলুপ্ত সংসদের ভাইস প্রেসিডেন্ট সামিরা চাউয়াচি, সাইদের নিযুক্ত নির্বাচন কমিশন দ্বারা উপস্থাপিত ভোটার সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, বিরোধীরা নিজেরাই পরীক্ষা করে দেখবে ওই সংখ্যা কতটা সঠিক।
প্রেসিডেন্ট সাইদ বলেছেন, তার নতুন সংবিধান, একটি শক্তিশালী প্রেসিডেন্সি তৈরি করতে, আইন প্রণয়নের ক্ষমতা কমাতে এবং একটি নতুন আঞ্চলিক সমাবেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তৈরি করা হয়েছে, যা তিউনিসিয়ায় বছরের পর বছর ধরে আটকে থাকা রাজনৈতিক অচলাবস্থার অবসান ঘটাবে।
তবে বিরোধীরা আশঙ্কা করছে, এটি তার এক ব্যক্তির শাসনকে পাকা-পোক্ত করবে, যা এক বছর আগে শুরু হয়েছিল। সেই সময় থেকেই সাইদ সুদূরপ্রসারী লক্ষ্য নিয়ে ক্ষমতা দখল করে, সরকার ভেঙে দেন এবং কয়েক ডজন বিচারককে বরখাস্ত করেন।
তিউনিস ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক হামাদি রেডিসি বলেছেন, এই ফলাফল দেশটির নতুন গণতন্ত্রের জন্য হুমকিস্বরূপ।
তবে আসবাবপত্র বিক্রয়কর্মী আদেল জিনের মতো ভোটাররা এই ফলাফলে খুশি।
তিনি এখনও বিশ্বাস করেন, প্রেসিডেন্ট সাইদ নিজের হাতে দেশ চালাতে পারবেন না – কারণ তার অভিজ্ঞতার যথেষ্ট অভাব রয়েছে। তবে জাইন বলেন, তিনি যদি স্বৈরশাসক হন, তাহলে ভোটাররা তাকে ক্ষমতা থেকে ঠিকই টেনে নামাবে।