উত্তর কোরিয়ার কর্মকর্তারা আসন্ন একটি আঞ্চলিক বৈঠকের সময় প্রকৃত অর্থে সম্পৃক্ত হতে ইচ্ছুক হবে- যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা এমন কোনো লক্ষণ দেখছেন না। এদিকে পিয়ংইয়ং আরেকটি পারমাণবিক পরীক্ষা চালাবে বলে ব্যাপকভাবে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
৫ আগস্ট অ্যাসোসিয়েশন অফ সাউথইস্ট এশিয়ান নেশনস (আসিয়ান) আঞ্চলিক ফোরাম অর্থাৎ এআরএফ-এর মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক কম্বোডিয়ার নমপেনে অনুষ্ঠিত হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিষয়ক উপ-সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী জং পাক বলেছেন, “এটি প্রধান আঞ্চলিক নিরাপত্তা ফোরাম যেখানে যাদের স্বার্থ রয়েছে এমন অনেক জড়িত।” মঙ্গলবার তিনি ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেছেন, “ডিপিআরকে-র নজিরবিহীন সংখ্যক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার মতো আঞ্চলিক বিপজ্জনক জায়গাগুলো ” যুক্তরাষ্ট্রের আলোচ্যসূচির শীর্ষে রয়েছে।
তিনি উত্তর কোরিয়ার সরকারি নাম অর্থাৎ ডেমোক্রেটিক পিপলস রিপাবলিক অফ কোরিয়া বলে উল্লেখ করছিলেন।
শেষবার পিয়ংইয়ং তার শীর্ষ কূটনীতিককে এআরএফ-এ প্রেরণ করেছিল ২০১৮ সালের আগস্টে। সে সময় উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রি ইয়ং হো যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর সাথে সিঙ্গাপুরে সাক্ষাৎ করেছিলেন। সিঙ্গাপুরে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন এবং যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে শীর্ষ বৈঠকের কয়েক সপ্তাহ পরে এই সাক্ষাৎ হয়েছিল।
পিয়ংইয়ং তখন থেকে এই ফোরামে একজন রাষ্ট্রদূত স্তরের প্রতিনিধি পাঠিয়েছে।
যদিও যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়ার সাথে সংলাপে সম্পৃক্ত হওয়ার ব্যাপারে স্পষ্ট ইচ্ছা প্রকাশ করেছে, যুক্তরাষ্ট্রের আমন্ত্রণগুলোর “ প্রকৃত অর্থে উত্তর দেয়া হয়নি” বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র নেড প্রাইস।
যুক্তরাষ্ট্র এবং উত্তর কোরিয়া ছাড়াও দক্ষিণ কোরিয়া, চীন, জাপান ও রাশিয়া এবং আসিয়ানের সদস্যরা এআরএফের সদস্য।