বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম ঘেব্রেয়েসাস বুধবার বলেছেন, বিশ্বের ৭৮টি দেশে ১৮,০০০’এর বেশি লোকের মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হবার খবর পাওয়া গেছে।
তিনি তার নিয়মিত কোভিড বিষয়ে হাল নাগাদ তথ্য দেবার সময় এই তথ্য প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, এ পর্যন্ত মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়ে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে এবং আক্রান্তদের মধ্যে মাত্র ১০% রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
টেড্রোস বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত দেশ, সম্প্রদায় এবং ব্যক্তিরা ভাইরাসের ঝুঁকিকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করবে, তখনই এই প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে।
বর্তমানে, মাঙ্কিপক্স আক্রান্তদের মধ্যে ৯৮ শতাংশ পুরুষদের ক্ষেত্রে দেখা গেছে যে তারা অন্য পুরুষদের সাথে যৌন সম্পর্ক করে। মহাপরিচালক তাদের যৌন সঙ্গীর সংখ্যা কমানোর পরামর্শ দেন। তবে তিনি ওইসব মানুষের প্রতি কোনও বৈষম্য না করার গুরুত্বের উপর জোর দিয়ে বলেন, সব রকম কলঙ্কলেপন বা ঘৃণা "যে কোনও ভাইরাসের মতোই বিপজ্জনক হতে পারে এবং প্রাদুর্ভাবকে আরও উস্কে দিতে পারে।"
ডাব্লিউএইচও গত সপ্তাহে মাঙ্কিপক্সকে বিশ্বব্যাপী জরুরি অবস্থার অধীনে এনেছ বলে ঘোষণা করেছে। তারা বলছে, যৌন যোগাযোগ, চুম্বন, নিবিড় আলিঙ্গন, দূষিত পোশাক, তোয়ালে এবং বিছানার চাদরের মাধ্যমে একজন থেকে অন্য জনের শরীরে তা ছড়িয়ে পড়তে পারে।
যারা মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তদের সংস্পর্শে এসেছে এবং যাদের উচ্চ ঝুঁকি রয়েছে, যেমন স্বাস্থ্যসেবা কর্মী, পরীক্ষাগার কর্মী এবং একাধিক যৌন সঙ্গী আছে এমন ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে টিকা দেওয়ার সুপারিশ করেছে ডাব্লিউএইচও ।তবে সংস্থাটি এই সময়ে গণ টিকা দেয়ার পরিকল্পনার বিরুদ্ধে।
এমভিএ-বিএন নামে পরিচিত গুটিবসন্তের ভ্যাকসিন কানাডা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাষ্ট্রে মাঙ্কিপক্সের বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য অনুমোদিত হয়েছে। তা সত্ত্বেও, ডাব্লিউএইচও’র এখনও ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা সম্পর্কে যথেষ্ট তথ্য-উপাত্তের অভাব রয়েছে, তাই সমস্ত দেশকে তাদের ডেটা ভাগ করার জন্য ভ্যাকসিন ব্যবহার করার আহ্বান জানিয়েছে।