অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

তাসখন্দ সম্মেলনে প্রায় ৩০টি দেশ তালিবানের সাথে জড়িত


তালিবান প্রতিনিধিদল জানিয়েছে যে তারা উজবেকিস্তানের তাসখন্দে ২৬ জুলাই, ২০২২-এ আফগানিস্তান সম্পর্কিত তাসখন্দ আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রায় ৩০টি দেশের সমস্ত প্রতিনিধিদের সাথে যোগাযোগ করেছে।
তালিবান প্রতিনিধিদল জানিয়েছে যে তারা উজবেকিস্তানের তাসখন্দে ২৬ জুলাই, ২০২২-এ আফগানিস্তান সম্পর্কিত তাসখন্দ আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রায় ৩০টি দেশের সমস্ত প্রতিনিধিদের সাথে যোগাযোগ করেছে।

গত আগস্টে গোষ্ঠীটি ক্ষমতা দখলের পর তালিবানের অংশগ্রহণে সম্ভবত সবচেয়ে বড় বহুপাক্ষিক অনুষ্ঠানে, কাবুলের কর্মকর্তাদের বেশ সাহসী এবং দৃঢ়প্রতিজ্ঞ বলে মনে হচ্ছিল। মধ্য এশিয়ার কূটনীতিকরা ভিওএ-কে বলেছেন, তালিবান ভালভাবে প্রস্তুত এবং আত্মবিশ্বাসী ছিল, অনুষ্ঠানটির উপর প্রতিবেদন প্রস্তুতকারী সংবাদদাতারাও তা লক্ষ্য করেছেন।

সম্মেলনে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি বলেছেন, তালিবান নেতৃত্বাধীন আফগানিস্তান ব্যবসার জন্য উন্মুক্ত।

তিনি বলেন, “আমরা ক্ষমতায় আসার আগে সবাই আফগানিস্তানে সহিংসতা বন্ধ করার আহ্বান জানাত। দেখুন, আমরা আমাদের দেশের পুনর্গঠন এবং এর অর্থনীতির উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করছি।”

কিন্তু মুত্তাকি বলেন, তালিবানের উচ্চাকাঙ্ক্ষা তাদের প্রাক্তন বিরোধীদের কাছে প্রসারিত। তিনি পশ্চিমাদের, বিশেষ করে ওয়াশিংটনকে সরাসরি সম্পর্ক স্থাপনের আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, “আমরা বিনিয়োগ চাই”।

জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য পশ্চিমা কর্মকর্তারা তালিবানের সাথে যোগাযোগ করেছে। এটি নজিরবিহীন নয়, এর আগেও ওয়াশিংটন তাদের সাথে কাতারের রাজধানী দোহায়, কয়েক বছর ধরে আলোচনা করেছে। তারা আফগানিস্তানের জন্য বাইডেন প্রশাসনের বিশেষ প্রতিনিধি টমাস ওয়েস্টের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলের সাথে তালিবানের ছাড়ের দাবিও পুনর্ব্যক্ত করেছে।

উজবেকিস্তানে ভিওএ-এর সহযোগী উজরিপোর্ট টিভি’র সাথে এক সাক্ষাত্কারে, ওয়েস্ট বলেছেন, "আফগানিস্তানের মানবিক সংকট আমেরিকান সিদ্ধান্ত গ্রহণকে চালিত করার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের মধ্যে রয়েছে।"

"আমরা আগস্ট থেকে মানবিক সহায়তায় প্রায় ১০০ কোটি ডলার ব্যয় করেছি," উল্লেখ করে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আফগান জনগণকে সহায়তা করা থেকে কোনো সাহায্য বা ব্যবসায় বাধা দিচ্ছে না।

সম্মেলনে যোগদানকারী আমেরিকান বিশেষজ্ঞ ফ্রেডেরিক স্টার বলেন, মূল বিষয় স্বীকৃতি নয় বরং "বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক, যা আসলে তালিবানের উদ্দেশ্য পরীক্ষা করে।"

এই উদ্যোগে মুগ্ধ হলেও, তালিবানের দাবির ব্যাপারে সন্দিহান স্টার ভিওএ-কে বলেছেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে তাদের আন্তরিকতার বিষয়ে বোঝাতে তালিবানের জন্য অনেক কাজ সামনে রয়েছে।

তবে স্টার বলেছেন যে শেষ পর্যন্ত আফগানিস্তান স্থিতিশীলতা অর্জন করতে না পারলে তিনি মধ্য এশিয়ায় স্থায়ী শান্তির কোন সম্ভাবনা দেখছেন না।

উজবেক বুদ্ধিজীবী সাইফিদ্দিন জুরায়েভ বলেছেন, তিনি মনে করেন "আফগান জনগণের যা আছে, তা যুক্তরাষ্ট্রের ফিরিয়ে দেওয়া উচিত" তবে তিনি স্টারের সাথে একমত যে "তালিবানকে এখনও এই সম্মেলনে পুনরাবৃত্তি করা শর্তগুলির মুখোমুখি হতে হবে।"

XS
SM
MD
LG