নিহত ফিলিস্তিনি-আমেরিকান সাংবাদিক শিরিন আবু আকলেহ-র এক আত্মীয় বলেছেন, বাইডেন প্রশাসনের শীর্ষ কূটনীতিক নিহত টেলিভিশন সংবাদদাতার হত্যার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পূর্ণ তদন্তের দাবিতে চাপ দেয়ার জন্য তার সরাসরি অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছেন।
ভাগ্নি লিনা আবু আকলেহ আরও বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা এই সপ্তাহে তার সাথে বৈঠকে আমেরিকানরা কীভাবে হত্যার বিষয়ে আগেকার অনুসন্ধানে পৌঁছেছে সে সম্পর্কে তারা ইতিমধ্যেই প্রকাশকৃত তথ্যের চেয়ে বেশি কিছু জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
৪ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের জারি একটি বিবৃতি এই উপসংহারে পৌঁছেছে যে, ইসরাইলি বাহিনী সম্ভবত মে মাসে শিরিন আবু আকলেহকে গুলি করে হত্যা করেছিল, তবে এমন কোনো ইঙ্গিত নেই যে, ইসরাইলিরা ইচ্ছাকৃতভাবে আল জাজিরার প্রবীণ এই সংবাতদাতাকে গুলি করেছে
৫১ বছর বয়সী এই প্রতিবেদক যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ছিলেন। ফিলিস্তিনি ও অন্যান্য সম্প্রদায় সম্পর্কে সংবাদ সংগ্রহের জন্য তিনি আরব বিশ্বে অত্যন্ত সম্মানিত ছিলেন।
১১ মে অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিন শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি সামরিক অভিযান সম্পর্কে সংবাদ সংগ্রহের সময় আবু আকলেহকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল।
তার ক্রু এবং ফিলিস্তিনি প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, ইসরাইলি সৈন্যরা তাকে হত্যা করেছে এবং তাকে গুলি করার সময় আশেপাশে কোনো জঙ্গি ছিল না বা কোনো গোলাগুলি হচ্ছিল না।
ইসরাইলের বাহিনী ইচ্ছাকৃতভাবে তাকে গুলি করেছে-এমন অভিযোগ ইসরাইল অস্বীকার করেছে, তবে বলেছে যে, একজন ইসরাইলি সৈন্য একজন জঙ্গির সাথে গুলি বিনিময়ের সময় ভুলবশত তাকে আঘাত করেছিল।
যুক্তরাষ্ট্র তার উল্লিখিত উপসংহার ঘোষণা করার পর শিরিন আবু আকলেহ-র পরিবার এক বিবৃতিতে ওই ব্যাখ্যাটিকে “অপমানজনক” বলে অভিহিত করেছে এবং গুরুত্বপূর্ণ মিত্র ইসরাইলের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের দিকে ইঙ্গিত করেছে।