অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দি নিহত হওয়ার ঘটনায় পরস্পরকে দায়ী করছে রাশিয়া ও ইউক্রেন


একটি ভিডিও থেকে নেওয়া এই ছবিতে, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের ওলেনিভকা’র একটি কারাগারে ধ্বংস হওয়া ব্যারাক দেখা যাচ্ছে, ২৯ জুলাই ২০২২। এলাকাটি রুশ সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কারাগারে গোলাবর্ষণের জন্য শুক্রবার রাশিয়া ও ইউক্রেন পরস্পরকে দোষারোপ করে।
একটি ভিডিও থেকে নেওয়া এই ছবিতে, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের ওলেনিভকা’র একটি কারাগারে ধ্বংস হওয়া ব্যারাক দেখা যাচ্ছে, ২৯ জুলাই ২০২২। এলাকাটি রুশ সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কারাগারে গোলাবর্ষণের জন্য শুক্রবার রাশিয়া ও ইউক্রেন পরস্পরকে দোষারোপ করে।

ক্ষেপণাস্ত্র হামলায়, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের একটি কারাগার ধ্বংস হয়ে গেলে ডজনকয়েক ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দি নিহত হন। এই হামলার জন্য শুক্রবার রাশিয়া এবং ইউক্রেন একে অপরের প্রতি দোষারোপ করেছে। কোন পক্ষের দাবিই নিরপেক্ষভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক বলে যে, ওলেনিভকার ঐ কারাগারে হওয়া হামলায় ৪০ জন বন্দি নিহত হয়েছেন এবং ৭৫ জন আহত হয়েছেন। বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা ডনেটস্ক প্রদেশের একটি অংশ হল ওলেনিভকা।

রুশ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের এক মুখপাত্র নিহতের সংখ্যা ৫৩ জন বলে জানায়। তিনি, কিয়েভের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি হাইমার্স রকেট ব্যবস্থা ব্যবহার করে কারাগারে হামলা চালানোর অভিযোগ করেন।

ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী হামলা চালানোর কথা অস্বীকার করেছে। তারা বলছে যে, বন্দিদের প্রতি দুর্ব্যবহারের বিষয়টি গোপন করতে, রুশ গোলন্দাজ বাহিনী ঐ কারাগারে হামলা চালায়।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি এ ঘটনার জন্য রাশিয়াকে দায়ী করেছেন।

জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া তার প্রাত্যহিক বক্তব্যে, শুক্রবার তিনি বলেন, “এটি রাশিয়ার একটি ইচ্ছাকৃত যুদ্ধাপরাধ, এটি ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দিদের ইচ্ছাকৃতভাবে গণহত্যা।” তিনি আরও বলেন যে, হামলায় ৫০ জনেরও বেশি নিহত হয়েছে।

রাশিয়াকে সন্ত্রাসবাদের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষক ঘোষণা করতে তিনি বিভিন্ন দেশের প্রতি আহ্বান জানান। জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক রেড ক্রসের প্রতি হামলার ঘটনায় সাড়া দেওয়ার জন্যও আহ্বান জানান তিনি।

দ্য ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অফ দ্য রেড ক্রস শুক্রবার ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের নিরাপদে নিয়ে আসার জন্য অনুমতি চেয়েছে।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক মুখপাত্র, ঘটনাটিকে ইউক্রেনের সৈন্যদের আত্মসমর্পণে নিরুৎসাহিত করার উদ্দেশ্যে এক “নিষ্ঠুর উস্কানি” বলে উল্লেখ করেছেন।

ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দারা বলছেন, রাশিয়ার দাবিগুলো হচ্ছে “ বেসামরিক স্থাপনা ও মানুষজনের উপর ইউক্রেন গোলাবষর্ণ করছে বলে যে দোষারোপ করা হচ্ছে, তা নিজেদের হীন কর্মকাণ্ড ঢাকতে একটি তথ্যযুদ্ধের অংশ।”

XS
SM
MD
LG