ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট ফিদেল ভালদেজ রামোস, যিনি যুক্ত্ররাষ্ট্রে প্রশিক্ষিত একজন সাবেক জেনারেল মারা গেছেন। কোরিয়ান ও ভিয়েতনাম যুদ্ধে তিনি যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। ১৯৮৬ সালে গণতন্ত্রপন্থী অভ্যুত্থানেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন, যা একজন স্বৈরশাসককে ক্ষমতাচ্যুত করে। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর।
কি কারণে তার মৃত্যু হয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। তবে তার দীর্ঘদিনের একজন সহযোগী নরম্যান লেগাস্পি দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে বলেন যে, রামোস সাম্প্রতিক বছরগুলিতে হৃদরোগে ভুগে হাসপাতালে বেশ কয়েকদফা চিকিৎসা নিয়েছেন এবং ডিমেনশিয়াতেও ভুগছিলেন।
"তিনি একজন আইকন ছিলেন। আমরা একজন নায়ককে হারালাম এবং আমি একজন বাবাকে হারালাম," ফিলিপাইনের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিমান বাহিনীর কর্মকর্তা লেগাস্পি বলেন, যিনি প্রায় ১৫ বছর ধরে রামোসের প্রধান কর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
প্রেস সচিব ট্রিক্সি ক্রুজ-এঞ্জেলেস রামোসের পরিবারের প্রতি শোক প্রকাশ করে একটি বিবৃতিতে বলেন, "একজন সামরিক কর্মকর্তা এবং প্রধান নির্বাহী হিসাবে তিনি দেশের মহান পরিবর্তনগুলিতে অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি বর্ণিল জীবন এবং ইতিহাসে একটি স্থায়ী স্থান রেখে গেছেন।"
অ্যাকুইনো রাষ্ট্রপতি পদে উন্নীত হওয়ার পরে, রামোস সামরিক বাহিনীর চিফ অফ স্টাফ এবং পরে প্রতিরক্ষা সচিব হয়েছিলেন, সফলভাবে বেশ কয়েকটি সহিংস অভ্যুত্থান প্রচেষ্টা থেকে তাকে রক্ষা করেছিলেন।
রামোস ১৯৯২ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জয়লাভ করেন এবং মূলত রোমান ক্যাথলিক ঐ জাতির প্রথম প্রোটেস্ট্যান্ট রাষ্ট্রপতি হন। তার মেয়াদটি প্রধানত সংস্কার, টেলিকমিউনিকেশন এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে একচেটিয়া ব্যবসা ধ্বংস করার প্রচেষ্টার জন্য চিহ্নিত করা হয়। যা একটি বিরল অর্থনৈতিক উত্থান ঘটিয়ে দরিদ্র দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশের ভাবমূর্তিকে শক্তিশালী করেছিল। তার এই ভুমিকা ব্যবসায়ী নেতা এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে প্রশংসা পেয়েছিল।
সঙ্কটের সময়ে তার শান্ত থাকার ক্ষমতার কা্রণে তাকে "অবিচলিত এডি" নামে ডাকা হত।
রামোস তার স্ত্রী অ্যামেলিটা "মিং" রামোস এবং চার কন্যা রেখে গেছেন। তাদের দ্বিতীয় সন্তান জোসেফিন "জো" রামোস-সামারটিনো ২০১১ সালে মারা যান।
অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার ব্যাপারে তাৎক্ষণিকভাবে কোন সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়নি।