অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

সংকটের কারণে বিশ্বব্যাপী শরণার্থী শিবিরগুলিতে তীব্র অপুষ্টি


ইথিওপিয়ার আফার অঞ্চলের সেমেরা শহরে, একটি শরণার্থী শিবিরে কয়েকজন নারী কার্ডবোর্ডের বাক্সের নীচে বসে আছেন। ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২। (ফাইল ছবি)
ইথিওপিয়ার আফার অঞ্চলের সেমেরা শহরে, একটি শরণার্থী শিবিরে কয়েকজন নারী কার্ডবোর্ডের বাক্সের নীচে বসে আছেন। ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২। (ফাইল ছবি)

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা, ইউএনএইচসিআর, এই সপ্তাহে এক রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে বিশ্বব্যাপী সংকট জরিপ করা কয়েক ডজন শরণার্থী শিবিরে অপুষ্টির মাত্রা তীব্রভাবে বেড়ে গেছে, যার বেশিরভাগই আফ্রিকায়। ইউএনএইচসিআর-এর ২০২১ বার্ষিক জনস্বাস্থ্য - বৈশ্বিক পর্যালোচনা শুক্রবার প্রকাশিত হয়েছে।

ইউএনএইচসিআর কর্মকর্তারা বলছেন, তাদের অনুসন্ধানে শরণার্থীদের পুষ্টির অবস্থার উল্লেখযোগ্য অবনতি দেখা দেওয়ায় তারা উদ্বিগ্ন। কোভিড-১৯ বিধিনিষেধের কারণে ২০২০ সালে বন্ধ হওয়ার পর, গত বছর শরণার্থীদের পুষ্টির অবস্থা পর্যবেক্ষণ আবার শুরু হয়েছে।

কর্মকর্তারা বলছেন, ১২টি আফ্রিকান দেশ এবং বাংলাদেশে জরিপ করা ৯৩টি শিবিরের এক তৃতীয়াংশে তীব্র অপুষ্টির গুরুতর মাত্রা, পুষ্টির অবস্থা এবং ১৪% অবস্থানে অপুষ্টির মাত্রা জীবনের জন্য হুমকিস্বরূপ বলে রেকর্ড করা হয়েছে।

ইউএনএইচসিআর-এর মুখপাত্র শাবিয়া মান্টু ভিওএ-কে বলেছেন, অপুষ্টির হারগুলি বিশেষভাবে উদ্বেগজনক, কারণ ইউক্রেনে যুদ্ধের কারণে খাদ্য পণ্যের দাম বৃদ্ধির আগে তা রেকর্ড করা হয়েছিল।

এই সমস্যা সত্ত্বেও, ইউএনএইচসিআর বলেছে, জাতীয় স্বাস্থ্য নীতিতে উদ্বাস্তুদের অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে লাভ হয়েছে। ৪৬টি দেশের সমীক্ষায় দেখা গেছে, ৭৬% শরণার্থীকে তারা তাদের জাতীয় স্বাস্থ্য পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করেছে এবং কার্যত সমস্ত শরণার্থী প্রাথমিক স্বাস্থ্য সুবিধা ব্যবহার করতে সক্ষম হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাদের আরেকটি ফলাফলে গত বছরের শেষ নাগাদ ১৬২টি দেশ শরণার্থী এবং আশ্রয়প্রার্থীদের জাতীয় কোভিড-১৯ টিকাকরণ পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করেছে।

XS
SM
MD
LG