উগান্ডার একটি সীমান্ত চৌকিতে গুলি চালানোর সন্দেহে কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রে (ডিআরসি) জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন শান্তিরক্ষী বাহিনীর সৈন্যদের গ্রেফতার করেছে। গুলির ঐ ঘটনায় অন্তত দুইজন নিহত ও অপর ১৫ জন আহত হয়েছেন। ডিআরসি-তে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনকে ঘিরে এটিই সর্বসাম্প্রতিক সহিংস ঘটনা। শান্তিরক্ষা মিশনটি সেখানে সহিংস বিক্ষোভের সম্মুখীন হয়ে আসছে।
এক বিবৃতিতে, কঙ্গো-উগান্ডার সীমান্তে অবস্থিত কাসিন্দি-তে জাতিসংঘ মিশনটি বলে যে, মোনুসকো মিশনের একটি ব্রিগেড বাহিনীর ঐ সৈন্যরা ছুটি শেষে ফিরে আসার সময়ে ঐ সীমান্ত চৌকিতে গুলি চালায়।
রবিবারের ঘটনাটি ডিআরসি-তে সংঘটিত হয়। সে সময়ে ঐ সৈন্যরা উগান্ডা থেকে কঙ্গোতে প্রবেশ করছিল।
কঙ্গোতে জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ প্রতিনিধি, বিন্টু কেইটা ঘটনাটিকে অবর্ণনীয় ও দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি বলেন যে, ঐ সৈন্যরা “ব্যাখ্যাতীত কারণে” গুলি চালায়। কেইটা বলেন, জাতিসংঘ ঐ সৈন্যদের পাঠানো দেশগুলোর সাথে যোগাযোগ করেছে যাতে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যায়।
ডিআরসি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, ঘটনায় আহতদের মধ্যে দুই পুলিশ সদস্য রয়েছেন, যারা ঐ ফাঁড়িতে কাজ করছিলেন। এছাড়াও আহতদের মধ্যে আটজন বেসামরিক মানুষও রয়েছেন।
কঙ্গোর সরকারি মুখপাত্র প্যাট্রিক মুয়ায়া বলেন যে, ঘটনায় জড়িত শান্তিরক্ষীদের কঙ্গো থেকে বরখাস্ত করা হবে, যতক্ষণ পর্যন্ত না সমগ্র মোনুসকো বাহিনীকে ডিআরসি থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার পরিকল্পনার বিষয়ে কোন মীমাংসা হবে।
২৫ জুলাই বিক্ষোভ আরম্ভ হওয়ার পর থেকে কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলে প্রায় ২০ জন মানুষ নিহত হয়েছেন।