ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালায় মাঙ্কিপক্সের কারণে এক ব্যক্তির প্রথম মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ২২ বছর বয়সী এই ব্যাক্তি ফিরে আসে। এরপরই ভারত মাঙ্কিপক্স ভাইরাসের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা শুরু করেছে।
এশিয়ায় মাঙ্কিপক্সের কারণে এই তরুণের মৃত্যুই প্রথম।
ভারতে আরও যেসব ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল, সেসব ক্ষেত্রেও ভাইরাসটি সনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন কেরালার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ।
আফ্রিকার বাইরে এটি বিশ্বব্যাপী চতুর্থ মাঙ্কিপক্স মৃত্যুর খবর। স্পেনে এখন পর্যন্ত দুটি এবং ব্রাজিলে একটি মাঙ্কিপক্স সম্পর্কিত মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
কেরালার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মৃত ওই যুবকের সংস্পর্শে আসা প্রায় ২০ জনের ওপর নজর রাখা হচ্ছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে কেরালায় তার সাথে ফ্লাইটে থাকা যাত্রীদের সাথেও যোগাযোগ করা হয়েছে এবং কর্তৃপক্ষ উপসর্গযুক্ত ব্যক্তিদের ডাক্তারদের অবহিত করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
ইতিমধ্যেই মাঙ্কিপক্স পরীক্ষার জন্য পনেরটি পরীক্ষাগারকে মনোনীত করা হয়েছে এবং রাজধানী নয়াদিল্লিসহ কয়েকটি রাজ্য আইসোলেশন ওয়ার্ড স্থাপন করেছে। ।
ভারতে এখন পর্যন্ত ছয়টি ভাইরাসজনিত রোগের সন্ধান পাওয়া গেছে - চারটি কেরালায় এবং দুটি নয়াদিল্লিতে।
এদিকে, সংক্রমণের ঘটনা রিপোর্ট করার পরে সরকার দেশীয় টিকা প্রস্তুতকারকদের মাঙ্কিপক্সের বিরুদ্ধে শট তৈরির বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোভিড-১৯-এর মতো মাঙ্কিপক্সের বিরুদ্ধে গণটিকাকরণের প্রয়োজন হবে না।
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের তথ্যানুযায়ী, বিশ্বের ৭০ টি দেশে, জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ২৩ হাজারের বেশি মাঙ্কিপক্স রোগী শনাক্ত হয়েছে। বানরে এটি প্রথম সনাক্ত হয়।