অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

টিগ্রায় সংঘর্ষের পর সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে কঠোর হয়েছে ইথিওপিয়া


ইথিওপিয়ার জাতীয় সামরিক বাহিনীর সদস্যদের ইথিওপিয়ার শেওয়া রবিটে একটি ট্রাকে দেখা যাচ্ছে। ৫ ডিসেম্বর, ২০২১। ফাইল ছবি।

ইরিত্রিয়ার সাথে ইথিওপিয়াও এখন সাব-সাহারান আফ্রিকার সাংবাদিকদের সবচেয়ে বড় কারাগার হিসেবে স্থান লাভ করেছে। সাংবাদিকদের সুরক্ষা কমিটির একটি নতুন প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের নভেম্বরে টিগ্রায়তে সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর থেকে ইথিওপিয়ার অন্তত ৬৩ জন সাংবাদিক ও গণমাধ্যম কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ব্যাপারে পর্যবেক্ষণ করা দ্য অ্যাডভোকেসি গ্রুপ বলেছে, ইরিত্রিয়ার পাশাপাশি ইথিওপিয়া “সাব-সাহারান আফ্রিকার সাংবাদিকদের সবচেয়ে খারাপ বন্দিশালা ” হিসেবে স্থানলাভ করেছে।

ফেডারেল সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়া টিগ্রায় পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট বা টিপিএলএফের নেতৃত্বাধীন পূর্ববর্তী সরকারের অধীনে ইথিওপিয়া দীর্ঘদিন ধরে গণমাধ্যম সেন্সর করার জন্য কুখ্যাতি অর্জন করেছিল।

বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ ২০১৮ সালে ক্ষমতায় আসার পর বিধিনিষেধ শিথিল করার এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতার একটি নতুন ক্ষেত্র চালু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

কিন্তু অধিকার গোষ্ঠীগুলো টিগ্রায়তে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গণমাধ্যমে পরিবেশের অবনতি নথিভুক্ত করেছে। এর মধ্যে বেশ কয়েকজন সাংবাদিককে আটক করা, হুমকি দেয়া এবং লাঞ্ছিত করার মতো ঘটনা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

২০২০ সালের নভেম্বর থেকে বিতর্কিত পরিস্থিতিতে ২ জন স্থানীয় সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে এবং নিউ ইয়র্ক টাইমস ও দ্য ইকোনোমিস্টের জন্য কাজ করা ২ জন বিদেশি সংবাদদাতাকে দেশ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

সাংবাদিকদের সুরক্ষা কমিটি যেসকল সাংবাদিক ও গণমাধ্যম কর্মীকে গ্রেপ্তারের খবর নথিভুক্ত করেছে তাদের অন্তত ৮ জন কারাগারে রয়েছে।

এর আগে ইথিওপিয়ার সরকার সাংবাদিকদের লক্ষ্যবস্তু বানানোর বিষয়টি অস্বীকার করে বলেছে, পুলিশ যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেছে এবং শুধুমাত্র যারা দেশের গণমাধ্যম আইন ভঙ্গ করেছে তাদেরকে আটক করেছে।

XS
SM
MD
LG