অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ভোলায় বিএনপির সকাল-সন্ধ্যা হরতাল কর্মসূচি শুরুর ছয়ঘন্টা পর প্রত্যাহার


ভোলায় বিএনপির হরতাল কর্মসূচি প্রত্যাহার
ভোলায় বিএনপির হরতাল কর্মসূচি প্রত্যাহার

বাংলাদেশের ভোলায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ছাত্রদলের জেলা শাখার সভাপতি নুরে আলমের মৃত্যুর ঘটনায়, জেলা বিএনপির ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। হরতাল শুরুর ছয় ঘন্টা পর, জনগণের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে, এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) দুপুরে ভোলা জেলা বিএনপির কার্যালয়ে,দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এ ঘোষণা দেন।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় প্রশ্ন করেন, “সরকারের উপরের নির্দেশ না থাকলে, পুলিশের বিরুদ্ধে কোন শাস্তি মূলক ব্যবস্থা বা কোন এ্যাকশন আজ পর্যন্ত দেখা যায়নি কেন।” ঐ দিনের ঘটনায নিহত ও আহত পরিবারের ক্ষতিপূরণের পাশাপাশি পুলিশদের বিচার দাবি করেন তিনি।

হরতাল প্রত্যাহারের ঘোষণার শহরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

বিএনপির ভোলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির শোপান বলেন, “ আজ (৪ আগস্ট) দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিএনপি নেতাকর্মীরা শান্তিপূর্ণভাবে জেলার বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ ও মিছিল করেছে।”

হরতালের সময় ভোলা জেলা শহরের মহাজনট্টি সদর রোড, বিএনপির কার্যালয় এলাকায় সকাল থেকে অধিকাংশ দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। হরতালের কারণে জেলার সড়কে যান চলাচল কম করতে দেখা গেছে। তবে ভোলা-চরফ্যাশন রুটে দূরপাল্লার বাস চলাচল করছে।

এছাড়া, অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে শহরের প্রধান কয়েকটি স্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। গত রবিবার (৩১ জুলাই) পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নূরে আলম গুলিবিদ্ধ হন।

হুমায়ুন কবির জানান, “ঐ দিনই রাজধানীর কমফোর্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হলে, বুধবার বিকাল সোয়া ৩টার দিকে নূরে আলম মারা যান। তিনি হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন।”

চলমান লোডশেডিং এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে, গত রবিবার (৩১ জুলাই) বিএনপির দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত রবিবার, ভোলায় জেলা কার্যালয়ের সামনে দলটির নেতা-কর্মীরা সববেত হন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তারা কালীনাথ রায় বাজারে বিক্ষোভ করার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

পরবর্তীতে পুলিশ গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করলে, স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আব্দুর রহিম নিহত হন এবং দলের কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হন। এদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন ছাত্রদলের জেলা শাখার সভাপতি নুরে আলম।

XS
SM
MD
LG