লাবণী, সুগন্ধা, সায়মনবিচ ও দরিয়া নগর পয়েন্টসহ হিমছড়ি পর্যন্ত প্রায় ৫০ কিলোমিটার সৈকতের একাধিক পয়েন্টে, জোয়ারের পানির সঙ্গে অসংখ্য মরা জেলিফিশ ভেসে এসেছে। সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে এসব মৃত জেলিফিশ বালুতে আটকে আছে।
এবিষয়ে বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা আবু সাইয়েদ মো.শরীফ বলেন, “জেলিফিশ সাধারণত শীতকালে মারা যায় এবং মৃত অবস্থায় সাগর উপকূলে ভেসে আসে। বেশ কিছুদিন ধরে আমরা সাগরে ভেসে আসা জেলিফিশগুলো পরীক্ষা করে দেখেছি। ভেসে আসা এসব জেলিফিশ হয়তো জেলেদের জালে আটকা পড়ে মারা যাচ্ছে। যেহেতু, এতদিন সাগরে মাছ ধরা বন্ধ ছিল। এখন মাছ ধরা শুরু হওয়ায় জেলেদের জালে আটকা পড়ছে এসব জেলিফিশ।”
“জেলিফিশ যেহেতু কম সাঁতার কাটতে জানে, সেহেতু, জোয়ারের পানিতে ভেসে এসে সাগর পাড়ে বালুচরে আটকে মারা যাচ্ছে; এমন সম্ভাবনাও রয়েছে। সাগরে পরিবেশ বিপর্যয়ের মত কিছুই হয়নি বলেও আমার ধারণ। জানান সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা আবু সাইয়েদ মো.শরীফ।
কক্সবাজার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বদরুজ্জামান বলেন, “এই সময়ে মাছগুলো মরার কোন সিজন নয়। হয়তোবা জেলিফিশ উপকূলের কাছাকাছি এসে জেলেদের জালে আটকা পড়েছে। জেলেরা ফেলে দেয়ার পর, জেলিফিশগুলো বেলাভূমিতে আসতে শুরু করেছে।”
উল্লেখ্য, স্থানীয় জেলেদের কাছে জেলিফিশ সাগরের ‘লোনা’ হিসেবে পরিচিত।