বৃহস্পতিবার প্রকাশিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)’র স্টেট অফ হেলথ ইন আফ্রিকা রিপোর্ট অনুসারে আফ্রিকায় ২০০০ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে আয়ু প্রায় ১০ বছর বেড়ে এখন ৪৬ বছর থেকে ৫৬ বছর হয়েছে।
তবে, ডব্লিউএইচও কর্মকর্তারা উল্লেখ করেছেন যে এটি এখনও ৬৪ বছরের বৈশ্বিক গড় আয়ু থেকে অনেক কম। আফ্রিকার জন্য ডব্লিউএইচওর সহকারী আঞ্চলিক পরিচালক লিন্ডিওয়ে মাকুবালো সতর্ক করে দিয়েছেন যে দেশগুলি স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার উন্নয়নে শক্তিশালী এবং বৃহত্তর বিনিয়োগ না করলে আয়ুষ্কালের লাভ সহজেই হারিয়ে যেতে পারে।
কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের রাজধানী, ব্রাজাভিল থেকে কথা বলার সময়, তিনি বলেন, আফ্রিকা গত দুই দশক ধরে সেই দিকটিতে ভাল করেছে। তিনি উল্লেখ করেছেন, মৌলিক প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার মতো প্রয়োজনীয় পরিষেবাগুলি গড়ে ২০০০ সালের ২৪ শতাংশের তুলনায় ২০১৯ সালে ৪৬ শতাংশ লোকের নাগালের মধ্যে এসেছে।
মাকুবালো বলেন, "অন্যান্য কারণগুলির মধ্যে প্রজনন, মাতৃত্ব, নবজাতক এবং শিশু স্বাস্থ্যের উন্নতি অন্তর্ভুক্ত,"। তা ছাড়া, গত ১৫ বছরে এইচআইভি এবং টিবি, সেইসাথে ম্যালেরিয়ার মতো সংক্রামক রোগগুলি মোকাবেলায় স্বাস্থ্য পরিষেবার দ্রুত মান বৃদ্ধি উন্নত স্বাস্থ্যসহ আয়ু বৃদ্ধির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ।"
যদিও সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ ও চিকিত্সার ক্ষেত্রে অগ্রগতি হয়েছে, তবে প্রতিবেদনে দেখা গেছে অসংক্রামক রোগের জন্য স্বাস্থ্য পরিষেবা পিছিয়ে রয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, ক্যান্সার এবং অন্যান্য অসংক্রামক রোগের নাটকীয় বৃদ্ধি স্বাস্থের ক্ষেত্রে এই অর্জনকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে যদি এই অবস্থাগুলির অবহেলা অব্যাহত থাকে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে সর্বজনীন স্বাস্থ্য কভারেজ অর্জনে কিছু অগ্রগতি হয়েছে, কিন্তু তা যথেষ্ট নয়। স্বাস্থ্য আধিকারিকরা বলছেন যে স্বাস্থ্য পরিষেবাগুলি সকলের নাগালের মধ্যে নিয়ে আসার অন্যতম প্রধান পদক্ষেপ হল সরকারের পক্ষ থেকে জনস্বাস্থ্য বাজেট বাড়ানো।