ইউক্রেনের শস্য বাণিজ্যিক জাহাজে করে বিশ্ববাজারে পৌঁছানোর উদ্দেশ্যে, জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় করা চুক্তিটির বাস্তবায়ন তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে রয়েছে দ্য জয়েন্ট কোঅর্ডিনেশন সেন্টার (জেসিসি)। জেসিসি বৃহস্পতিবার জানিয়েছে যে, শুক্রবার আরও তিনটি জাহাজের বন্দর ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে।
রাজোনি নামের প্রথম জাহাজটি সোমবার ওডেসা বন্দর ছেড়ে গেছে। ভুট্টা বহনকারী জাহাজটি বর্তমানে লেবাননের পথে রয়েছে।
ওডেসা ছেড়ে যাওয়া দ্বিতীয় জাহাজ হবে ন্যাভিস্টার।জাহাজটি ৩৩ হাজার মেট্রিক টন ভুট্টা নিয়ে আয়ারল্যান্ডের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে।
ইউক্রেন, রাশিয়া, তুরস্ক ও জাতিসংঘের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে জেসিসি গঠিত হয়েছে। চরনোমরস্ক বন্দর থেকে শুক্রবার আরও দু’টি জাহাজ ছেড়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে জেসিসি। তাদের মধ্যে একটি জাহাজ হল পোলারনেট, যেটি ১২ হাজার মেট্রিক টন ভুট্টা নিয়ে তুরস্কের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের কারাসু যাবে। দ্বিতীয় জাহাজটি হল রোজেন, এটি ১৩ হাজার মেট্রিক টন ভুট্টা নিয়ে ব্রিটেনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে।
এই সর্বমোট ৫৮,০০০ মেট্রিক টন শস্য, ইউক্রেনের খাদ্যগুদাম ও বন্দরে অপেক্ষমান বাণিজ্যিক জাহাজগুলোতে মজুদ থাকা ২ কোটি মেট্রিক টনের খুব সামান্য অংশ। জাতিসংঘ জানিয়েছে যে, অন্তত ২৮টি জাহাজ ইউক্রেনের বন্দর ছেড়ে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে।
ফুলমার এস নামের জাহাজটিকে, পরিদর্শন সাপেক্ষে চরনোমরস্ক বন্দরে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে জেসিসি। জাহাজটি বর্তমানে ইস্তাম্বুলের কাছে জেসিসি’র পরিদর্শন এলাকায় নোঙর করে আছে।
জাহাজগুলোর শুক্রবার দিনের শুরুতে যাত্রা শুরু করার কথা রয়েছে। তবে, জেসিসি জানায় যে, “প্রস্তুতি, আবহাওয়া বা অন্য কোন অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি” বন্দর ছেড়ে যাওয়ার সময়কে প্রভাবিত করতে পারে। জাহাজগুলো তুরস্কের আঞ্চলিক জলসীমার পরিদর্শন এলাকায় এসে পৌঁছলে, সেগুলোর নাবিক ও বহন করা মালামাল পরীক্ষা করে দেখা হবে।