অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় ঢাকা মহানগরে গণপরিবহন সংকট


ঢাকায় গণপরিবহন

বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার ফলে, শনিবার (৬ আগস্ট) রাজধানী ঢাকায় তীব্র পরিবহন সংকট দেখা দিয়েছে। সকালে অধিকাংশ গণপরিবহন বন্ধ থাকায়, যাত্রীদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।

শুক্রবার রাতে ডিজেল, অকটেন ও পেট্রোলের দাম যথাক্রমে ৪২.৫ শতাংশ, ৫১.৭ শতাংশ ও ৫১ শতাংশ বাড়ানো হয়। নতুন দামে, প্রতি লিটার ডিজেল ১১৪ টাকা, অকটেন ১৩৫ টাকা ও পেট্রোল ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর এই ঘোষণার পর পরিবহন মালিকরা রাজধানীতে গণপরিবহন না চালানোর সিদ্ধান্ত নেন।

গুলশান-১ এ অবস্থিত একটি বেসরকারি কোম্পানিতে কাজ করেন মাসুমা নাসরিন রিমি। মিরপুর-১২ এর পূরবী বাসস্ট্যান্ডের সামনে দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করেও বাসে উঠতে পারেননি। অবশেষে তিনি অন্য যাত্রীদের সঙ্গে একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশায় মহাখালী ওয়্যারলেস গেট এলাকায় যান।

রিমি বলেন, “আমি যে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় উঠেছিলাম, তা মহাখালী ওয়্যারলেস গেট পয়েন্টে পরিবহন শ্রমিকদের অবরোধের মুখে পড়ে। এর পর, কিছুটা পথ রিকশায়, আর কিছুটা পথ হেঁটে অফিসে পৌঁছলাম।”

বৈশাখী পরিবহনের কর্মচারী হাফিজুর রহমান জানান, “জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে আমরা মহাখালী-গুলশান-১ সড়কে অবরোধ কর্মসূচি পালন করছিলাম।”

হাফিজুর বলেন, “জ্বালানির দাম ৫০ শতাংশের বেশি বেড়েছে, আমরা যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নিতে পারি না। কারণ, আমরা এখনও এই বিষয়ে কোনও নির্দেশনা পাইনি, যা অগ্রহণযোগ্য। আমরা যাত্রীদের সঙ্গে বিতণ্ডা এড়াতে আমাদের বাস চালাচ্ছি না।”

শনিবার (৬ আগস্ট) সরকারি ছুটির দিন হলেও, অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সাধারণত এই দিনে তাদের অফিস খোলা রাখে। ফলে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন বাস স্টপেজে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে। বাস না পেয়ে অনেককে হেঁটে অফিসে যেতে হয়েছে।

হানিফ পরিবহনের ব্যবস্থাপক (অপারেশন) মো. আশরাফুজ্জামান বলেন, “চারটি রুটে আমাদের ২৫০টি বাস চলাচল করলেও, শনিবার সকাল থেকে ১২০টি বাস চলছে। জ্বালানির দাম বেশি থাকায় আমরা আমাদের বাসের সংখ্যা কমিয়ে দিচ্ছি। জ্বালানির দাম বৃদ্ধির সঙ্গে ভাড়া সমন্বয় না হলে, আগামীকাল থেকে আমরা বাস চালাতে পারব না।”

XS
SM
MD
LG