প্রতারণা ও জালিয়াতির মামলায় চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ারের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
বৃহস্পতিবার (২ মে) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত এই রিমান্ড মঞ্জুর করে।
এর আগে আদালতে হাজির হয়ে মিল্টনের ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মিরপুর জোনাল টিমের উপপরিদর্শক মোহাম্মদ কামাল হোসেন।
মিল্টনের আইনজীবী ওয়াহিদুজ্জামান বিপ্লব রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, মিল্টন প্রতারণার মাধ্যমে ৫০টি ভুয়া মৃত্যু সনদ (ডেথ সার্টিফিকেট) প্রদান করেন। মিল্টন তাঁর চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার নামক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে বয়স্ক, শিশু ও প্রতিবন্ধীদের আশ্রয় দেন। তবে তিনি প্রায়শই নিজেকে চিকিৎসক হিসেবে পরিচয় দিতেন।
বুধবার (১ মে) রাজধানী ঢাকার মিরপুর এলাকা থেকে মিল্টনকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
মানবিক কাজের কারণে মিল্টন সমাদ্দার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিচিত।
সম্প্রতি কিছুদিন ধরে মিল্টনের বিরুদ্ধে নানা প্রতারণার অভিযোগে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছিল। মিল্টন ফেসবুকে ভিডিও দিয়ে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন। এরই মধ্যে তাঁর সঙ্গে কাজ করা এবং সংশ্লিষ্ট কয়েকজন তাঁর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ আনেন।
অভিযোগের মধ্যে রয়েছে মানুষের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের অবৈধ বাণিজ্য, বিশেষ করে কিডনি কাটা ও বিক্রির বিষয়টি এসেছে।
এই তথ্য ফাঁস হওয়ার পর অনেকে মুখ খুলেছেন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনার ঝড় ওঠার পর মিল্টন সমদ্দারকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বৃহস্পতিবার সকালে মিরপুর বিভাগের ডিবির উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ কামাল পাশা বাদী হয়ে মিরপুর থানায় মামলাটি দায়ের করেন।