যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন শনিবার বলেছেন, এ সপ্তাহের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রের হাউজ স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের প্রতিশোধ হিসেবে বেইজিংয়ের ওয়াশিংটনের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়ে জলবায়ু সংকটের মতো গুরুত্বপূর্ণ বৈশ্বিক বিষয় ‘জিম্মি’ রেখে চীনের আলোচনা করা উচিত নয়।
ফিলিপাইনের ম্যানিলায় নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র এবং অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাথে সাক্ষাতের পর একটি অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে ব্লিংকেন এ কথা বলেন। ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে সম্পর্ক গত কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ পর্যায়ে নেমে গেছে।
স্বায়ত্তশাসিত দ্বীপটিতে পেলোসির ভ্রমণে ক্ষুব্ধ হয়ে চীন বৃহস্পতিবার তাইওয়ানের উপকূলে সামরিক মহড়া শুরু করে। তাইওয়ানকে চীন তার নিজের ভূখন্ড বলে দাবি করে এবং প্রয়োজন হলে তা অধিগ্রহণের কথাও বলেছে। তাইওয়ান উপকুলের অদূরে বৃহস্পতিবার চীন সামরিক মহড়া শুরু করে। পেলোসির সফরের শাস্তি হিসাবে সামরিক বিষয় এবং গুরুত্বপূর্ণ জলবায়ু সহযোগিতাসহ জরুরি বিষয়গুলিতে চীন শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।
ব্লিংকেন জলবায়ু পরিবর্তনে সহযোগিতাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র হিসাবে উল্লেখ করে বলেন, চীন যে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে তা কেবল " যুক্তরাষ্ট্রকে শাস্তি দেয় না - এটি সারা বিশ্বকেই শাস্তি দেয়।"
তিনি আরও বলেন "বিশ্বের বৃহত্তম কার্বন নির্গমনকারী দেশটি এখন জলবায়ু সংকট মোকাবেলায় জড়িত হতে অস্বীকার করছে। ব্লিংকেন বলেন, তাইওয়ানের আশেপাশের জলসীমায় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলির নিক্ষেপ চীনের একটি বিপজ্জনক এবং অস্থিতিশীল পদক্ষেপ ছিল।
ব্লিংকেন উল্লেখ করেন যে, প্রায় অর্ধেক বৈশ্বিক কন্টেইনার বহর এবং বিশ্বের বৃহত্তম জাহাজগুলির প্রায় ৯০% এই জলপথের মধ্য দিয়ে চলাচল করে।
চীনের এইসব পদক্ষেপ সত্ত্বেও, ব্লিংকেন শুক্রবার কম্বোডিয়ায় তার চীনা সমকক্ষ ওয়াং ইকে বলেন,"আমরা এই উত্তেজনা হ্রাস করতে চাই এবং আমরা মনে করি সংলাপ এর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, ভুল বোঝাবুঝি বা ভুল যোগাযোগ এড়ানোর উদ্দেশ্যে যুক্তরাষ্ট্র চীনের সাথে আমাদের যোগাযোগের চ্যানেলগুলি খোলা রাখবে।”
আসিয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বিষয়টিতে "সর্বোচ্চ সংযমের" আহ্বান জানিয়েছেন ।