ইউক্রেনের কৃষ্ণ সাগরের বন্দরগুলো থেকে রবিবার চারটি শস্যবাহী জাহাজ ছেড়ে গিয়েছে।
ব্ল্যাক সি গ্রেইন ইনিশিয়েটিভ বা কৃষ্ণ সাগর শস্য উদ্যোগের বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণে স্থাপিত জয়েন্ট কোঅর্ডিনেশন সেন্টার সমুদ্রপথের মানবিক করিডোরগুলো ব্যবহার করে জাহাজগুলোর ছেড়ে যাওয়ার অনুমোদন দিয়েছে।
ইউক্রেনের বন্দরগুলো ছেড়ে যাওয়া জাহাজগুলো চীন, ইতালী এবং তুরস্কের দুইটি স্থানের উদ্দেশ্যে যাত্রা করছে।
পঞ্চম আরও একটি জাহাজকে পণ্য বোঝাই করতে ইউক্রেনের বন্দরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি শনিবার তার প্রাত্যহিক বক্তব্যে, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের প্রতি তাদের “স্পষ্ট নীরবতার” জন্য নিন্দা জানান, কারণ সংস্থাটি ঝাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে রুশ গোলাবর্ষণের ঘটনাটি উল্লেখ করতে ব্যর্থ হয়েছে। ইউক্রেনের এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ইউরোপের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। জেলেন্সকি বলেন, এই নীরবতা “সংস্থাটির কারসাজিমূলক বাছাইয়ের প্রতি ইঙ্গিত করে”।
অপরদিকে, আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার প্রধান, শনিবার এক বিবৃতিতে ঐ পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, “ঝাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিরাপত্তা ঝুঁকিতে ফেলা [যে কোন] সামরিক কর্মকাণ্ড সম্পূর্ণরূপে অগ্রহণযোগ্য এবং যে কোন মূল্যে তা পরিহার করতে হবে।”
গত সপ্তাহে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যাতে বলা হয় “ফেব্রুয়ারিতে আরম্ভ হওয়া রুশ আক্রমণ প্রতিহত করার সময়ে, জনবহুল আবাসিক এলাকাগুলোতে ঘাঁটি তৈরি করে এবং অস্ত্র ব্যবস্থাগুলো পরিচালনা করে ইউক্রেনের বাহিনী বেসামরিক মানুষজনকে ঝুঁকির মুখে ফেলেছে, যেসব এলাকার মধ্যে বিদ্যালয় ও হাসপাতাল রয়েছে।”
এর জবাবে জেলেন্সকি তখন বলেছিলেন, “কল্পনাতেও এমন কোন পরিস্থিতি থাকতে পারে না যখন ইউক্রেনে যে কোন ধরণের রুশ আক্রমণ ন্যায়সঙ্গত হতে পারে। আমাদের রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আগ্রাসন অপ্ররোচিত, আগ্রাসী এবং উন্মুক্তরূপে সন্ত্রাসমূলক।”
ইউক্রেনে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের প্রধান, ওকসানা পোকালচুক নিজেও এই বৈশ্বিক সংস্থাটির প্রতিবেদনে সম্মত হননি এবং সেটির প্রতিবাদস্বরূপ নিজ দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন।