অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

রাশিয়ার বিরুদ্ধে আবার পারমাণবিক কেন্দ্রে গোলাবর্ষণের অভিযোগ তুললো ইউক্রেন


ইউক্রেনের জাপোরিঝিয়া অঞ্চলে রাশিয়ান নিয়ন্ত্রিত শহর এনারহোদারের বাইরে জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি দৃশ্য। ৪ঠা আগস্ট, ২০২২।
ইউক্রেনের জাপোরিঝিয়া অঞ্চলে রাশিয়ান নিয়ন্ত্রিত শহর এনারহোদারের বাইরে জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি দৃশ্য। ৪ঠা আগস্ট, ২০২২।

ইউক্রেন রবিবার আবারও রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউরোপের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র জাপোরিঝিয়া কেন্দ্রে বোমা হামলার অভিযোগ করেছে। তারা অভিযোগ করেছে যে, মস্কো এই "পারমাণবিক সন্ত্রাসের" সাথে জড়িত।

ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক শক্তি সংস্থা বলেছে, রুশ বাহিনী শনিবার রাতের হামলায় স্থাপনাটির তিনটি বিকিরণ সেন্সর ক্ষতিগ্রস্ত করেছে এবং সেখানে কর্তব্যরত এক কর্মী আহত হয়েছে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি টুইটারে লিখেছেন, "রাশিয়ান পারমাণবিক সন্ত্রাসের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে একটি শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া প্রয়োজন – প্রয়োজন রাশিয়ান পারমাণবিক শিল্প এবং পারমাণবিক জ্বালানীর উপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা।"

এর আগে, রাশিয়া নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলের কারখানাটিতে শুক্রবারও হামলা চালানো হয়। তবে মস্কো এই হামলার জন্য পাল্টা ইউক্রেন বাহিনীকে দায়ী করেছে।

রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণের প্রথম পর্যায়ে জাপোরিঝিয়া প্ল্যান্টটি মার্চের শুরুতে দখল করেছিল, তবে স্থাপনাটি এখনও ইউক্রেনীয় প্রযুক্তিবিদদের দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে।

ইউক্রেনের পারমাণবিক সংস্থা এনারগোঅ্যাটম বলেছে, শনিবার রাশিয়ান রকেট একটি স্টোরেজ প্রকল্পে আঘাত হানে, যেখানে ব্যয়িত পারমাণবিক জ্বালানীসহ ১৭৪টি চুল্লী বাইরে রাখা হয়েছিল।

তারা বলছে, ওই হামলায় "প্রশাসনিক ভবন এবং স্টোরেজ প্রকল্প সংলগ্ন অঞ্চলও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।"

শুক্রবার প্রথম হামলার পর আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার প্রধান বলেন, গোলাবর্ষণে পারমাণবিক বিপর্যয়ের ঝুঁকি দেখা গেছে।

এদিকে, রবিবার ইউক্রেনের কৃষ্ণ সাগর বন্দর থেকে চারটি শস্যবাহী জাহাজ রওনা হয়েছে।

[ এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে ]।

XS
SM
MD
LG