বিদেশে বাংলাদেশের নাগরিকদের উপার্জিত অপ্রদর্শিত অর্থ, সাত শতাংশ কর দিয়ে দেশে পাঠাতে, তাদের উৎসাহিত করতে তফসিলি ব্যাংকগুলোকে প্রচার চালানোর নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশি নাগরিকদের অপ্রদর্শিত আয় ও পাচার করা অর্থ ফেরত আনার লক্ষ্যে সম্প্রতি প্রণীত ‘আয়কর অধ্যাদেশ’ অনুযায়ী এই প্রচার চালানো হবে।
সাত শতাংশ কর পরিশোধ করে বিদেশে যে কোনো উপায়ে অর্জিত আয় আয়কর রিটার্নে প্রদর্শন করতে পারবেন বাংলাদেশি নাগরিকরা।এই ধরনের আয় ব্যাংকিং চ্যানেলে বৈধ করা হবে এবং কেউ (ব্যাংক বা অন্য কোনো সংস্থা) এই আয়ের উৎস সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতে পারবে না।
সোমবার (৮ আগস্ট) কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সকল তফসিলি ব্যাংকে পাঠিয়েছে। সার্কুলারে আয়কর অধ্যাদেশের আওতায়, অফশোর ট্যাক্স অ্যামনেস্টির বাস্তবায়ন ও প্রচারের কথা বলা হয়েছে।
সার্কুলারে আরও বলা হয়েছে, “অর্থ আইন-২০২২ এর মাধ্যমে, আয়কর অধ্যাদেশ-১৯৮৪ এর ধারা ১৯এফ অনুসারে; ২০২২ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২৩ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সময়সীমার মধ্যে, সাত শতাংশ কর প্রদান করে বাংলাদেশের বাইরে যে কোনো রূপে গচ্ছিত অপ্রদর্শিত অর্থ ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে বৈধভাবে দেশে এনে আয়কর রিটার্নে প্রদর্শন করা যাবে।”
এই সাধারণ ক্ষমার সমালোচনা করেছেন অর্থনীতিবিদ ও এনবিআরের সাবেক কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, এর ফলে বাংলাদেশ থেকে অর্থ ও মূলধন পাচার বাড়বে।