পাকিস্তান পুলিশ মঙ্গলবার সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের এক ঘনিষ্ঠ সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি সেনা কর্মকর্তাদের বিদ্রোহে উষ্কানি দিয়েছেন।
খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) পার্টি অভিযোগ করেছে যে, রাজধানী ইসলামাবাদের ঠিক বাইরে শাহবাজ গিলকে তার গাড়ি থেকে "টেনে হিঁচড়ে" আনা হয় এবং হেফাজতে নেওয়ার আগে নির্যাতন করা হয়েছিল।
স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারিত ফুটেজে গিলের গাড়ির জানালার কাঁচ ভাঙা দেখা গেছে।
ইমরান খান টুইট করেছেন, "এটি একটি অপহরণ, গ্রেপ্তার নয়।" “এমন লজ্জাজনক কাজ কি কোনো গণতন্ত্রে ঘটতে পারে? রাজনৈতিক কর্মীদের শত্রু হিসেবে গণ্য করা হয়েছে এবং আমাদের সকলকেই একটি বিদেশী মদদপুষ্ট দুর্বৃত্তদের সরকারকে মেনে নিতে বাধ্য করছে।"
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ কয়েক ঘন্টা পরে একটি সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশ করেন যে পুলিশ সদস্যরা তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে এবং পরবর্তীকালে "রাষ্ট্রের পক্ষে" এই বিরোধী ব্যক্তির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা দায়ের করেছে।
মন্ত্রী বলেন, গিল, যিনি একজন আমেরিকান নাগরিক তাঁর বিরুদ্ধে "বিদ্রোহে উৎসাহিত করা এবং একজন সৈনিক, নাবিক বা বিমানকর্মীকে তার দায়িত্ব থেকে প্রলুব্ধ করার চেষ্টা করার" অভিযোগ আনা হয়েছে। তিনি বলেন, “আগামীকাল সকালে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আদালতে হাজির করা হবে এবং আদালত সিদ্ধান্ত দেবে”।
পাকিস্তানের অন্যতম জনপ্রিয় চ্যানেল এআরওয়াই নিউজ দ্বারা সম্প্রচারিত একটি লাইভ শোতে সোমবার তার মন্তব্যের কারণে গিলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। তিনি এপ্রিলে সংসদীয় অনাস্থা ভোটে খানকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে সেনাবাহিনীতে কথিত ফাটল সম্পর্কে কথা বলেছিলেন।
তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা শেহবাজ শরীফ পরবর্তীকালে বহুদলীয় জোট সরকারের নতুন প্রধানমন্ত্রী হন।
পিটিআই নেতা এবং সুপ্রিম কোর্টের কৌশুলি ফয়সাল হুসেন, রিপেক্ষ আইন বিশেষজ্ঞদের সাথে, গিলের বিরুদ্ধে অভিযোগ খারিজ করে বলেছেন, দেশের সংবিধান তার নাগরিকদের মত প্রকাশের স্বাধীনতার অধিকার দেয়।