মঙ্গলবার বুরকিনা ফাসোতে দুটি বিস্ফোরণে ১৫ জন সেনা নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। তারা বলেছে, জিহাদি বিদ্রোহের সাথে দেশটির লড়াইয়ে ধারাবাহিক হামলার মধ্যে এটি সর্বসাম্প্রতিক ঘটনা।
মধ্য-উত্তর অঞ্চলের “বুরজাঙ্গা থেকে জিবো যাওয়ার রাস্তায়” ঘরে তৈরি বিস্ফোরক ব্যবহার করে এই জোড়া বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে বলে সেনা জেনারেল স্টাফ জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “উভয় ঘটনায় ১৫ জন সৈন্য নিহত এবং ১ জন আহত হয়েছে।”
বিবৃতিতে বলা হয়, একটি সুরক্ষা মিশনের সময় এই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
সেনারা যখন এলাকাটি সুরক্ষিত করে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের দিকে মনোযোগ দিচ্ছিল তখন, “দ্বিতীয় বিস্ফোরকটিতে দূর থেকে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়, যার ফলে অনেক হতাহতের ঘটনা ঘটে।”
বুরকিনা ফাসোতে আল-কায়েদা এবং ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠীর সাথে জড়িত জিহাদিদের দ্বারা সংঘটিত বলে দাবি করা সহিংসতায় হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে এবং আরও ১৯ লাখ মানুষকে তাদের বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছে।
সোমবার একটি সন্দেহজনক জিহাদি হামলায় উত্তরাঞ্চলীয় ইয়াতেঙ্গা প্রদেশে ৬ জন বেসামরিক নাগরিক এবং ৪ জন নিরাপত্তা সহকারী নিহত হয়েছে বলে একটি নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে।
আরেকটি কথিত জিহাদি অভিযান বৃহস্পতিবার দেশের উত্তরে বুরজাঙ্গা জেলায় ৪ জন সৈন্য এবং ৯ জন সহকারীর প্রাণ নিয়েছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
বিদ্রোহ দমনে সরকারের ব্যর্থতার জন্য ব্যাপক ক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে বুরকিনা ফাসোর শাসক জান্তা জানুয়ারিতে একটি অভ্যুত্থানে ক্ষমতা গ্রহণ করে যা প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট রচ মার্ক ক্রিশ্চিয়ান কাবোরকে ক্ষমতাচ্যুত করে।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, আজ দেশের ৪০ শতাংশেরও বেশি অংশ সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে রয়েছে।