রাশিয়া আক্রমণ আরম্ভের ৫১/২ মাস পর রাশিয়ার সাথে লড়াই চালিয়ে যেতে পশ্চিমা মিত্রদের কাছে বৃহস্পতিবার আরও অর্থ ও গোলাবারুদের জন্য আবেদন জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি।
কোপেনহেগেন-এ অনুষ্ঠিত পশ্চিমা প্রতিরক্ষা নেতাদের এক বৈঠকে ভিডিওর মাধ্যমে সংযুক্ত হয়ে জেলেন্সকি বলেন, “আমরা যত দ্রুত রাশিয়াকে থামাতে পারব, তত দ্রুতই আমরা নিরাপদ বোধ করতে পারব। আমাদের নিজেদের প্রতিরক্ষার জন্য অস্ত্র, গোলাবারুদ প্রয়োজন।”
ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেকসি রেজনিকভ ডেনমার্কের রাজধানীতে ঐ সম্মেলনে যোগ দেন। তিনি সংবাদকর্মীদের বলেন যে, আরও জঙ্গিবিমান হাতে পাওয়াকে এই মুহুর্তে তার দেশ অগ্রাধিকার দিচ্ছে।
রেজনিকভ বলেন, “প্রথম পর্যায়ে আমাদের জঙ্গিবিমান প্রয়োজন। তারপর মাইন অপসারণ করা।”
জার্মানিতে যুক্তরাষ্ট্রের এক বিমানঘাঁটিতে এপ্রিলে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর কোপেনহেগেনের এই সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এপ্রিলের বৈঠকে ইউক্রেনের জন্য আন্তর্জাতিক সামরিক সহায়তা সমন্বয় করতে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ‘ইউক্রেন ডিফেন্স কনট্যাক্ট গ্রুপ’ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল।
ব্রিটেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস বলেন, বৈঠকের উদ্দেশ্য হল ইউক্রেনের জন্য আরও সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে “বাস্তব পদক্ষেপ” নিশ্চিত করা। তিনি বলেন, রাশিয়ার আক্রমণ প্রতিহত করতে ইউক্রেনের যোদ্ধাদের সহায়তার জন্য ব্রিটেন অনির্দিষ্ট সংখ্যক নতুন মাল্টিপল রকেট লঞ্চ সিস্টেম এবং গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র পাঠাবে।
ব্রিটেন এই বছরে এর আগে ইউক্রেনে একাধিক রকেট লঞ্চ সিস্টেম পাঠিয়েছে এবং ইউক্রেনের সৈন্যদের সেগুলোর ব্যবহার সম্পর্কে ব্রিটেনে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
ডেনমার্কের সরকার জানিয়েছে যে, তারা ইউক্রেনকে অতিরিক্ত আরও ১১ কোটি ৩০ লক্ষ ডলার সহায়তা দিবে। এর ফলে যুদ্ধের জন্য ডেনমার্কের দেওয়া মোট সহায়তার পরিমাণ ৪১ কোটি ৩০ লক্ষ ডলার হবে। ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেট্টে ফ্রেডরিকসেন এটিকে “এক বিশাল দান” হিসেবে আখ্যায়িত করেন, যার একটি অংশ আগামী মাসগুলোতে ব্রিটেনে ইউক্রেনের বাহিনীকে প্রশিক্ষণে সহায়তার জন্য ডেনমার্কের ১৩০ জন সৈন্যের পিছনে ব্যয় করা হবে।
নরওয়ের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বিয়র্ন আরিল্ড গ্র্যাম বলেন, ইউক্রেনকে সহায়তা করতে পশ্চিমা সংকল্প অটুট রয়েছে।