অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

মেক্সিকোর আটকে পড়া খনি শ্রমিকদের কাছে পৌঁছানোর প্রাথমিক প্রচেষ্টা ব্যর্থ


মেক্সিকোর কোয়াহুইলা রাজ্যের সাবিনাসে একটি ধ্বসে পড়া জলমগ্ন কয়লা খনি থেকে স্বেচ্ছাসেবকরা পানি নিষ্কাশন করছে। সেখানে খনি শ্রমিকরা আটকা পড়েছে। ৪ আগস্ট, ২০২২।
মেক্সিকোর কোয়াহুইলা রাজ্যের সাবিনাসে একটি ধ্বসে পড়া জলমগ্ন কয়লা খনি থেকে স্বেচ্ছাসেবকরা পানি নিষ্কাশন করছে। সেখানে খনি শ্রমিকরা আটকা পড়েছে। ৪ আগস্ট, ২০২২।

ধ্বংসাবশেষে ভরা শ্যাফট এবং দুর্বল দৃষ্টিমানের কারণে গত সপ্তাহ থেকে প্লাবিত কয়লা খনিতে আটকা পড়া ১০ জন খনি শ্রমিককে উদ্ধারের জন্য ডুবুরিদের প্রথম প্রচেষ্টা বন্ধ হয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার মেক্সিকোর কর্তৃপক্ষ একথা জানিয়েছে।

বুধবার তারা ৪ বার চেষ্টা করে ১২টিরও বেশি কাঠের টুকরা এবং প্রায় ১৪ মিটার হোস-পাইপ অপসারণ করতে পেরেছিল। এর বেশি আর আগাতে পারেনি তারা।

৩ আগস্ট টেক্সাসের ঈগল পাস থেকে প্রায় ৭০ মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমে কোয়াহুইলারের সাবিনাসে কয়লা খনির ভেতরে ১৫ জন শ্রমিক ছিল। কর্তৃপক্ষের ধারণা, খনিশ্রমিকরা আরেকটি প্লাবিত এলাকাকে আটকে রাখা একটি প্রাচীর ভেঙে ফেলেছে।৫ জন খনিশ্রমিক আহত হয়েও বেরিয়ে আসতে পেরেছে। বাকি ১০ জনের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

গত সপ্তাহের বেশিরভাগ সময়জুড়ে কর্তৃপক্ষ কয়েক ডজন পাম্প ব্যবহার করে খনির প্লাবিত শ্যাফটের ভেতরের পানির স্তর কমানোর চেষ্টা করেছে। বুধবারে ডুবুরিরা প্রথমবারের মতো খনিতে প্রবেশের প্রচেষ্টা চালায়।

বুধবার কোয়াহুইলার-এর গভর্নর মিগুয়েল রিকেলমে টুইটারে জানিয়েছেন, আবারও খনিতে প্রবেশের চেষ্টা চালানোর আগে পানি নিষ্কাশন শুরু হবে।

কোয়াহুইলাতেই, ২০০৬ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারিতে, মেক্সিকোর সবচেয়ে ভয়াবহ খনি দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল । ঐ সময় ৭৩ জন শ্রমিক খনির ভেতরে থাকা অবস্থাতেই পাস্তা দে কনচোস খনিতে একটি বিস্ফোরণ ঘটে। তখন ৮ জন আহত ও গুরুতরভাবে দগ্ধ শ্রমিককে উদ্ধার করা গিয়েছিল। ঐ দুর্ঘটনায় বাকিদের মৃত্যু হয়েছিল। তাদের মধ্যে মাত্র দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল।

দুই বছর আগে, প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাডর প্রশাসন বাকি ৬৩টি মৃতদেহ উদ্ধারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো। এর জন্য উচ্চস্তরের প্রযুক্তিগত প্রচেষ্টার প্রয়োজন, যা এখনও শুরু হয়নি।

XS
SM
MD
LG