অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

জেরুজালেমে ফিলিস্তিনি অস্ত্রধারীর গুলিতে আট ইসরাইলি নাগরিক আহত


জেরুজালেমের পুরাতন শহরে এক হামলায় বেশ কয়েকজন ইসরাইলি আহত হওয়ার পর, ইসরাইল পুলিশের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। ১৪ই আগস্ট, ২০২২।
জেরুজালেমের পুরাতন শহরে এক হামলায় বেশ কয়েকজন ইসরাইলি আহত হওয়ার পর, ইসরাইল পুলিশের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। ১৪ই আগস্ট, ২০২২।

রবিবার ভোরে, জেরুজালেমের পুরাতন শহরের কাছে একজন ফিলিস্তিনি অস্ত্রধারী একটি বাসে গুলি চালালে, আট ইসরাইলি নাগরিক আহত হন। গাজায় ইসরাইলি ও জঙ্গিদের মধ্যে সহিংসতা শুরুর এক সপ্তাহ পর এই হামলা চলানো হলো। পুলিশ ও স্বাস্থ্যকর্মীরা এ তথ্য জানিয়েছে।

চিকিৎসা প্রদানকারী ইসরাইলি হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, আহতদের মধ্যে দুই জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এদেরে একজন অন্তঃসত্ত্বা নারী, যিনি তার তলপেটে আঘাত পেয়েছেন। অন্যজন মাথা ও ঘাড়ে আঘাত পাওয়া এক পূরুষ।

ইসরাইলে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত টম নিডস টুইটার বার্তায় জানান, আহতদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকও রয়েছেন। দূতাবাসের একজন মুখপাত্র এর বেশি আর কিছু জানান নি।

পুরাতন শহরের দেয়ালের ঠিক বাইরে,মাউন্ট জিওনে, ডেভিড-টম্ব-এর কাছে একটি পার্কিং লটে বাসটি অপেক্ষা করছিল। সে সময় সেখানে গোলাগুলির ঘটনাটি ঘটে। ইসরায়েলের গণমাধ্যম, পূর্ব জেরুজালেম থেকে আসা ২৬ বছর বয়সী এক ফিলিস্তিনী যুবককে সন্দেহভাজন আক্রমণকারী হিসেবে শনাক্ত করেছে।

ইসরাইলের পুলিশ জানিয়েছে, ইতোমধ্যে হামলাস্থলে তদন্তের জন্য সেনা সদস্যদের পাঠানো হয়েছে। ইসরাইলের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা পার্শবার্তী সিলওয়ান শহরতলি পর্যন্ত সন্দেহভাজন হামলাকারীকে অনুসরন করে।
পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার দিনের শেষভাগে সন্দেহভাজন আক্রমণকারী আত্মসমর্পণ করেছে।

এদিকে, রবিবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে দেওয়া বক্তব্যে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী ইয়ার লাপিদ বলেন, সন্দেহভাজন ব্যক্তি জেরুজালেমের বাসিন্দা। তিনি একাই এ হামলা চালিয়েছেন। তাকে এর আগেও ইসরাইল কর্তৃপক্ষ গ্রেপ্তার করেছিল।

গত সপ্তাহান্তে, গাজা উপত্যকায় ইসলামিক জিহাদ নামের একটি গোষ্টির বিরুদ্ধে ইসরাইল বিমান হামলা চালায়। ফলে সীমান্ত এলাকায় ৩ দিন ধরে তীব্র সংঘর্ষ হয়। বিমান হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইসলামিক জিহাদ গোষ্ঠি শত-শত রকেট নিক্ষেপ করে। ঐ বিমান হামলায় জঙ্গিগোষ্টিটির দুই কমান্ডারসহ আরও কিছু সদস্য নিহত হয়।

এই সংঘর্ষে ১৭ জন শিশু ও ১৪ জন বিদ্রোহীসহ মোট ৪৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হন। আহত হন আরও কয়েকশত মানুষ। ইসরাইল পক্ষে কোন হতাহত হয়নি। পরে, মিসরের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।

গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী ইসলামী জঙ্গিগোষ্ঠি হামাস এই সংঘর্ষে কোনো ভূমিকা রাখেনি।

যুদ্ধবিরতির ১ দিন পর, ইসরাইলের সেনারা পশ্চিম তীরের নাবলুসে এক গ্রেপ্তার অভিযানে যায়। সে সময় তারা ৩ জন ফিলিস্তিনি জঙ্গিকে হত্যা করে। এ সময় আরও কয়েক ডজন জঙ্গি আহত হয়।

XS
SM
MD
LG