অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ইউক্রেনের পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলে গোলাবর্ষণ করেছে রুশ বাহিনী


ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার বেলগোরোদ অঞ্চল থেকে নিক্ষিপ্ত রুশ রকেটগুলোকে ভোরবেলায় ইউক্রেনের খারকিভ থেকে দেখা যাচ্ছে, ১৫ আগস্ট ২০২২।
ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার বেলগোরোদ অঞ্চল থেকে নিক্ষিপ্ত রুশ রকেটগুলোকে ভোরবেলায় ইউক্রেনের খারকিভ থেকে দেখা যাচ্ছে, ১৫ আগস্ট ২০২২।

ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী সোমবার জানায় যে, পূর্বাঞ্চলের ডনব্যাস অঞ্চলে রুশ বাহিনী ব্যাপক গোলাবর্ষণ করেছে। এছাড়াও, দক্ষিণ ইউক্রেনের খেরসন ও মিকোলায়েভ শহরের আশেপাশে গোলাবর্ষণ করা হয়েছে বলে জানানো হয়।

ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফের দেওয়া এই খবরে, ঝাপোরিঝিয়ার পূর্ব ও দক্ষিণ দিকের শহরগুলোতে ট্যাংক ও বিমান হামলা চালানোর কথাও উল্লেখ করা হয়।

ঝাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের আশেপাশে চরম উত্তেজনাকর পরিস্থিতি অব্যহত রয়েছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রের আশেপাশে হামলার জন্য দুই পক্ষই পরস্পরকে দায়ী করা অব্যাহত রেখেছে। ইউক্রেন আক্রমণের কিছুদিন পরই, মার্চ মাসে রাশিয়া ঐ স্থাপনাটি দখল করে নেয়।

রবিবার, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি তার প্রাত্যহিক সান্ধ্যকালীন বক্তব্যের কিছু অংশে, রুশ জনগণের প্রতি আহ্বান জানান, যাতে তারা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে শুরু করা এই যুদ্ধটির বিরোধিতা করে। জেলেন্সকি বলেন, যে সকল রুশ নাগরিক যুদ্ধ নিয়ে নীরব আছেন, তারাও এই যুদ্ধকে সমর্থন করছেন।

জেলেন্সকি বলেন, “এবং আপনি যেখানেই থাকুন; রাশিয়ার ভূখণ্ডে বা বিদেশে; আপনার কন্ঠ থেকে ইউক্রেনের সমর্থন শোনা যাওয়া উচিৎ, এবং এই যুদ্ধের বিরুদ্ধে আপনার কন্ঠ শোনা যাওয়া উচিৎ।”

রুশ ভ্রমণকারীদের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের সম্ভাব্য ভিসা নিষেধাজ্ঞার প্রতিও সমর্থন জানান জেলেন্সকি।

এদিকে, জাতিসংঘের ভাড়া করা একটি জাহাজ ইউক্রেন থেকে ২৩ হাজার মেট্রিক টন গম নিয়ে রবিবার ইথিওপিয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গিয়েছে। এটিই যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে প্রথম রফতানি, যা দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি থাকা কোন দেশের উদ্দেশ্যে যাচ্ছে।

ব্রেভ কমান্ডার নামে লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী ঐ জাহাজ ইউক্রেনের ওডেসার পূর্বদিকের ইয়ুজন বন্দর থেকে ছেড়ে যায়। জিবুতির উদ্দেশ্যে যাত্রার পরিকল্পনা রয়েছে ঐ জাহাজের। সেখানে জাহাজে থাকা গম খালাস করে, জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির উদ্যোগে সেগুলো ইথিওপিয়ায় স্থানান্তর করা হবে।

যেই পাঁচটি দেশ দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে আছে বলে জাতিসংঘ মনে করে, সেগুলোর মধ্যে ইথিওপিয়াও রয়েছে।

XS
SM
MD
LG