কঠোর প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ফলে দুই প্রধান প্রার্থী উইলিয়াম রুতো এবং রাইলা ওডিঙ্গার সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে।। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আদালতে চ্যালেঞ্জ করা ফলাফলে নির্বাচনে জালিয়াতির দাবিগুলি দেখার সম্ভাবনা রয়েছে।
গত সপ্তাহের কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পরাজিতদের এবং যে কোনো নাগরিককে সুপ্রিম কোর্টে তাদের আবেদন করার জন্য সাত দিন সময় দেয়া হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান, গত সপ্তাহের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে উইলিয়াম রুতোকে বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করেন। তিনি ৫০.৪৯% ভোট পেয়েছেন। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী রাইলা ওডিঙ্গা পেয়েছেন ৪৮.৮৫%।
ওডিঙ্গার প্রধান রিটার্নিং অফিসার এই ফলাফলের সাথে দ্বিমত করে তাঁদের জয় চুরি হয়েছে বলে দাবী করেন।
ওডিঙ্গা এই ফলাফলকে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করবেন কিনা তা স্পষ্ট নয়, তবে দেশটির আইন কেনিয়ানদের নির্বাচনী ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করে পিটিশন দাখিল করার অনুমতি দেয়।
আইন বিশেষজ্ঞ ওমওয়ানজা ওম্বাতি বলেছেন, যারা এই জয়ের বিরোধিতা করছেন তারা এই সীমিত সময়ে আদালতের কাছে নির্দেশনা চাইতে পারেন।
উল্লেখ্য, কেনিয়াতে, আবেদনকারীদের সুপ্রিম কোর্টে তাদের মামলা দায়ের করার জন্য সাত দিন সময় এবং উত্তরদাতাদের এই অভিযোগের উত্তর দেওয়ার জন্য চার দিন সময় বরাদ্ধ রয়েছে। আদালতকে দুই সপ্তাহের মধ্যে রায় দিতে হবে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক মার্টিন আন্দাতি বলেছেন, কমিশনের নিজস্ব ত্রুটি রয়েছে।এই প্রক্রিয়ায় যেসব অনিয়ম দেখা গেছে তার কিছু অংশ তুলে ধরা হবে।
২০১৭ সালেও সুপ্রিম কোর্ট ওডিঙ্গার একটি সফল আবেদনের পরে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে দিয়েছিল।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর যথাক্রমে বিক্ষোভ ও উৎসব দুটিই ঘটে।
নির্বাচন প্রধানের বিজয়ী ঘোষণা করতে যাওয়ার সময় নির্বাচন কমিশনের গণনা কেন্দ্রেও বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়।
আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা বিক্ষুব্ধদের আইনি পথে যাওয়ার এবং এই প্রক্রিয়াটি শেষ হওয়ার পর রাজনৈতিক নেতাদের তাদের সমর্থকদের শান্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন।