পুলিশ মনে করছে, চারজন মুসলিম পুরুষের হত্যায় প্রধান সন্দেহভাজনের ছেলের হত্যাকাণ্ডে ভূমিকা রয়েছে। এই ঘটনা নিউ মেক্সিকোর সবচেয়ে বড় শহরটির মুসলিম সম্প্রদায়ে আলোড়ন তুলেছে।
সেলফোনের তথ্য থেকে জানা যায়, ৫ আগস্ট ২৫ বছর বয়সী ট্রাক ব্যবসায়ী নাঈম হুসেনকে যেখানে হত্যা করা হয়, ২১ বছর বয়সী শাহীন সৈয়দ নিউ মেক্সিকো অঙ্গরাজ্যের আলবুকার্ক শহরে তার বাবার মত একই এলাকায় অবস্থান করছিলেন।
সৈয়দের আইনজীবী জন অ্যান্ডারসন বলেন, এসব অভিযোগ ‘অত্যন্ত ক্ষীণ ও অনুমানমূলক।‘
পুলিশ গত সপ্তাহে শাহীন সৈয়দের বাবা মুহাম্মদ সৈয়দকে (৫১) দুটি খুনের অভিযোগে অভিযুক্ত করে এবং ব্যক্তিগত আক্রোশের কারণে চারটি হত্যাকান্ডের সাথে যুক্ত করে। সম্ভবত মুসলিমদের মধ্যেই সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষের কারণে এইসব হত্যাকান্ড ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে। গত সপ্তাহে মিথ্যা ঠিকানা দেওয়ার অভিযোগে শাহীন সৈয়দকে ফেডারেল আগ্নেয়াস্ত্র মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়।
অভিযোগে বলা হয় "আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তারাও সম্প্রতি এমন প্রমাণ খুঁজে পেয়েছেন যাতে অভিযুক্ত শাহীন সৈয়দ এই হত্যাকাণ্ডের সাথে যুক্ত বলে মনে হচ্ছে। "
এফবিআই সেল টাওয়ারের তথ্য বিশ্লেষণের উপর ভিত্তি করে এজেন্টরা মনে করেন, শাহীন সৈয়দ, নাঈম হুসেনকে ৫ ই আগস্ট নিহত দুই মুসলিম ব্যক্তির জন্য একটি অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠান ছেড়ে যাবার সময় অনুসরণ করে একটি পার্কিং এলাকায় যান। সেখানেই তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
বাদি পক্ষের আইনজীবিরা অন্যান্য গোলাগুলির বিষয়ে কোন প্রমাণ দাখিল করেননি।
নিহত মুহাম্মদ আফজাল হুসেনের ভাই ইমতিয়াজ হুসেন বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন যে ১ আগস্ট তার ভাইয়ের হত্যাকাণ্ডে কমপক্ষে দুইজন জড়িত ছিল।
পুলিশ রেকর্ড এবং ইমতিয়াজের মতে, নগর পরিকল্পনা পরিচালক আফজাল হুসেনকে একটি পিস্তল এবং রাইফেল দ্বারা প্রায় ১৫ থেকে ২০ সেকেন্ডের মধ্যে ১৫ বার গুলি করা হয় ।
ইমতিয়াজ হুসেন বলেন, "একজনের পক্ষে এত অল্প সময়ের ব্যবধানে দুটি অস্ত্র ব্যবহার করা কঠিন।”