অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ইরানের সাম্প্রতিক পারমাণবিক চুক্তি প্রস্তাব মূল্যায়ন করছে যুক্তরাষ্ট্র


ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর ভবন। ২৬ জানুয়ারী, ২০১৭। (ফাইল ছবি)
ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর ভবন। ২৬ জানুয়ারী, ২০১৭। (ফাইল ছবি)

যুক্তরাষ্ট্র মঙ্গলবার বলেছে, তারা তেহরানের পারমাণবিক উন্নয়ন কর্মসূচিকে সীমিত করার জন্য ২০১৫ সালের আন্তর্জাতিক চুক্তি নবায়ন করার বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন-মধ্যস্থতার চূড়ান্ত প্রস্তাবে ইরানের প্রতিক্রিয়া মূল্যায়ন করছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, তারা ইইউ থেকে ইরানের নথিপত্র হাতে পেয়েছে। তারা এখন তাদের ইউরোপীয় মিত্রদের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করবে।

তেহরানের সরকারী সংবাদ সংস্থা, আইআরএনএ মঙ্গলবার জানিয়েছে, ইরানী আলোচকরা তাদের উত্তর ইইউ-তে জমা দিয়েছে এবং এ রকম আভাস দিয়েছে যে, তারা এখনও ইইউ-এর প্রস্তাব গ্রহণ করবে না, যদিও এ রকম সতর্কতা রয়েছে যে আর কোন আলোচনা হবে না।

আইআরএনএ-এর রিপোর্টে বলা হয়েছে, "তিনটি বিষয়ে এখনো মতপার্থক্য রয়েছে, যদিও যুক্তরাষ্ট্র দুটি ক্ষেত্রে তার মৌখিক নমনীয়তা প্রকাশ করেছে, তবে এটি লিখিত বিবরণে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। আর তৃতীয় সমস্যাটি চুক্তি অব্যাহত রাখার নিশ্চয়তা দেওয়ার সাথে সম্পর্কিত, তবে তা নির্ভর করছে যুক্তরাষ্ট্রের বাস্তবতার উপর।"

এর আগে, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ানকে উদ্ধৃত করে আইআরএনএ বলেছিল, "আমেরিকান পক্ষ মৌখিকভাবে তেহরানের দুটি দাবি মেনে নিয়েছে"।

ইইউ’র শীর্ষ কূটনীতিক জোসেপ বোরেলের একজন মুখপাত্র নিশ্চিত করেছেন যে, তেহরান তাদের প্রতিক্রিয়া জমা দিয়েছে এবং বলেছে তারা এটি অধ্যয়ন করে দেখছে।

তবে কী প্রতিক্রিয়া রয়েছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু তিনি জানাননি।

চুক্তিটি নবায়ন করা সম্ভব হলে, ইরানের তেল উৎপাদনের উপর যুক্তরাষ্ট্র তার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে পারে। এতে করে বিশ্বব্যাপী তেলের দামের পতন ঘটাতে সাহায্য করবে।

২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প চুক্তিটি থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করার, এবং ইরানের বিরুদ্ধে পুনরায় অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পর থেকে যুগান্তকারী এই চুক্তিটি আটকে রয়েছে।

ইরানের সাথে আলোচনাকারী প্রধান দেশগুলি গত সপ্তাহে বোরেলের জমা দেওয়া চূড়ান্ত খসড়াটিতে তেহরানের প্রতিক্রিয়া জানার জন্য এখন অপেক্ষা করছে।

XS
SM
MD
LG