গত সপ্তাহে তার ফ্লোরিডার বাড়িতে এফবিআইয়ের তদন্তের পর পরই , প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার এক সাক্ষাত্কারে বলেন যে দেশে উত্তেজনা কমানো দরকার এবং কোন প্রমাণ ছাড়াই অভিযোগ করেন যে, ফেডারেল এজেন্টরা সেখানে প্রমাণ রোপন করে থাকতে পারে।
এফবিআই গত সপ্তাহে মার-এ-লাগোতে একটি সার্চ ওয়ারেন্ট কার্যকর করার পর, প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট তাঁর প্রথম সাক্ষাত্কারে ফক্স নিউজ ডিজিটালকে বলেন, আগে কখনও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের বাড়িতে প্রবেশ করার জন্য ব্যবহার করা হয়নি। তিনি বলেন গোটা দেশে মারাত্মক ক্ষোভ বিরাজ করছে যেমনটি খুব বিপজ্জনক সময়গুলো চাড়া আর কখনই দেখা যায়নি।
বস্তুত, এফবিআই এজেন্টরা ট্রাম্পের বাড়িতে 'ঢুকে' পড়েনি। তারা অপরাধ তদন্তে সার্চ ওয়ারেন্ট নিয়ে প্রবেশ করেছিল, যা ফেডারেল বিচারক দ্বারা অনুমোদিত ছিল এই সন্দেহে যে অপরাধ করা হয়েছে।
সেখান থেকে তারা ২০ বাক্সেরও বেশি রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ গোপন নথিপত্র, ব্যক্তিগত নথিপত্র, ছবির দুটি বাইন্ডার এবং অন্যান্য জিনিষপত্র উদ্ধার করে নিজেরা গ্রহণ করে। ট্রাম্পের কৌশুলিকে দেয়া রসিদে দেখা যাচ্ছে যে অনেকগুলো আটক নথিপত্রই ছিল গোপনীয়, কোন কোনটাতে লেখা ছিল টপ সিক্রেট ।
ট্রাম্প গত সপ্তাহে দাবি করেন , অফিস ছাড়ার আগে, তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে তার সাথে মার-এ-লাগোতে যাওয়া সমস্ত নথির কথা প্রকাশ করেছিলেন। তবে এখন পর্যন্ত সাবেক এই প্রেসিডেন্ট তার এই পদক্ষেপের তেমন কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেননি।
তবে, নথির শ্রেণিবিন্যাস যেমনই থাকুক, ট্রাম্প বা অন্য কোনও সরকারী কর্মকর্তার পক্ষে সরকারী রেকর্ডগুলি তাদের নিজস্ব ব্যক্তিগত দখলে নেওয়া অবৈধ। ১৯৭৮ সালের প্রেসিডেন্সিয়াল রেকর্ডস অ্যাক্টে বলা হয়েছে যে, একজন অফিস ছাড়ার পরে, প্রেসিডেন্টের সমস্ত রেকর্ডপত্র স্বয়ংক্রিয়ভাবে জাতীয় আর্কাইভস অ্যান্ড রেকর্ডস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এনএআরএ) এর আইনি হেফাজতে স্থানান্তর হবে।
এই বছরের শুরুর দিকেও এনএআরএ আদালতে গিয়ে ট্রাম্পকে আরও ১৫ টি গুরুত্বপুর্ণ নথি ফেরত দিতে বাধ্য করে। যখন ঐ সব বাক্সে গোপন জিনিষিপত্র পা্ওয়া যায় তখন তারা বিচার বিভাগকে সতর্ক করে দেয়।
যদিও রিপাবলিকানরা দাবি করেছেন যে বাইডেন প্রশাসন প্রেসিডেন্টের রাজনৈতিক শত্রুদের বিরুদ্ধে বিচার বিভাগকে "অস্ত্র" হিসেবে ব্যবহার করছে। বিচার বিভাগের একটি উন্মুক্ত অপরাধমূলক তদন্তও রয়েছে, যেখানে প্রেসিডেন্টের ছেলে হান্টার বাইডেনই এর লক্ষ্য।
রিপাবলিকান আইন প্রণেতাদের মধ্যে অনুসন্ধানের প্রতিক্রিয়া ভিন্ন ভিন্ন, সিনেটর রিক স্কটের মতো কেউ কেউ এফবিআইকে নাৎসি যুগের জার্মানির গোপন পুলিশ গেস্টাপোর সাথে তুলনা করেছেন। প্রতিনিধি পল গোসার টুইটারে বলেছেন, 'আমাদের অবশ্যই এফবিআইকে ধ্বংস করতে হবে।"