বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার, পার্বতীপুরের বড়পুকুরিয়া খনি থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু হয়েছে। শনিবার (২০ আগস্ট) সন্ধ্যা থেকে পুরোদমে তিন শিফটে কয়লা উত্তোলন শুরু হয় বলে জানিয়েছে খনি কর্তৃপক্ষ।
কয়লা উত্তোলনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক(এমডি)প্রকৌশলী মো. সাইফুল ইসলাম সরকার। তিনি জানান, “সীমিত সংখ্যক শ্রমিকের সহায়তায় তিন শিফটে একদিনে কয়লা তোলা হয়েছে দুই হাজার সাতশ’ ৩১ মেট্রিক টন। বিদ্যুৎ উৎপাদন অব্যাহত রাখতে উত্তোলিত কয়লার পুরোটাই সরবরাহ করা হচ্ছে পার্শ্ববর্তী বড় পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে। এছাড়া, করোনা ছড়িয়ে পড়ায় কিছুদিন স্থগিত রেখে নির্ধারিত সময়ের ১০ দিনের মধ্যে ৬ আগস্ট রাত থেকে সীমিত পরিমাণে কয়লা উত্তোলন শুরু করেছিল চীনা শ্রমিকরা।”
ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম সরকার জানান, “করোনা ছড়িয়ে পড়ার আশংকায় সব শ্রমিককে এক সঙ্গে কাজে লাগাননি তারা। তিনশ’ জন চীনা শ্রমিকের পাশাপাশি কয়লা উত্তোলনে কাজ করছে ২৯৩ জন বাংলাদেশি শ্রমিক। ১৩০৬ নম্বর নতুন ফেইজ থেকে শনিবার দিনভর দুই হাজার ৭৩১ মেট্রিক টন কয়লা তুলেছেন তারা। রবিবারও তিন শিফটে পুরো মাত্রায় কয়লা তোলার কাজ চালছে।”
এদিকে শ্রমিক নেতারা জানিয়েছেন, এক্সএমসি এবং সিএমসিসহ তিনটি চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অধীনে কয়লা তোলার কাজে নিয়োজিত এক হাজার ৪১জন বাংলাদেশি শ্রমিকের মধ্যে শুক্রবার রাত থেকে দুইশ’ জন শ্রমিক কয়লা তোলায় অংশ নিয়েছে। শিগগিরই অবশিষ্ট শ্রমিকদেরও কাজে যোগদান করানো হবে।
উল্লেখ্য, কয়লা তোলায় নিয়োজিত কর্মীদের মধ্যে তিন দফায় নমুনা পরীক্ষায় ৫৬জন চীনা এবং ৪০জন বাংলাদেশি শ্রমিকসহ ১০৬ জনের করোনা শনাক্ত হওয়ার কারণে, গত ২৯ জুলাই থেকে সাময়িকভাবে কয়লা উত্তোলন বন্ধ রাখা হয়েছিল। ৬ আগস্ট থেকে সীমিত পরিসরে কয়লা তুলছিল চীনা শ্রমিকরা। শনিবার থেকে পুরো মাত্রায় কয়লা উত্তোলনের আগে নিশ্চিত হতে ১২ থেকে ১৪ দিন শ্রমিকদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছিল খনির অভ্যন্তরে।