সরকারি-স্বায়ত্বশাষিত প্রতিষ্ঠানে নতুন অফিস সূচি ‘স্থায়ী নয়’ বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী মো. ফরহাদ হোসেন।
তিনি বলেন, "আমরা বলেছি আপাতত এটা করেছি পরবর্তী প্রজ্ঞাপন না দেয়া পর্যন্ত। পরবর্তী সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত এই সময়সূচি কার্যকর থাকবে। তবে এটি স্থায়ী কোন সময়সূচি না। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য নতুন এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।"
বুধবার সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে সানলাইফ ইনসিওরেন্স কোম্পানি এবং সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ফরহাদ হোসেন বলেন, "এখন দিন অনেক বড়। আলোটা পাচ্ছি অনেক আগে সেক্ষেত্রে আমরা সেই আলো ব্যবহার করতে চাই। আপাতত আমাদের সেচ ব্যবস্থার ক্ষেত্রেও এটি কাজে লাগবে। তবে এটা পরে আবার আমরা অ্যাডজাস্টমেন্ট করবো।"
প্রতিমন্ত্রী বলেন, "বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলায় সরকারের পক্ষ থেকে চমৎকার সময়োপযোগী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে প্রজ্ঞাপন দিয়ে অফিস সময় এগিয়ে নেয়া হয়েছে। আগে সকাল ৯টা থেকে ৫টা পর্যন্ত অফিস থাকলে এখন সময় এক ঘণ্টা কমিয়ে এনেছি। এক ঘণ্টা আগে অফিস বন্ধ করতে পারলেও আমরা বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে পারব।"
তিনি বলেন, "আমাদের যে বিদ্যুতের উৎপাদন সেটাকে আমরা ম্যানেজ করে নিতে চাই। অফিসকে এগিয়ে নিতে আমাদের পক্ষে এটা সম্ভব।"
নতুন অফিস সূচিতে কাজের গতি বাড়বে বলেও আশা করেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী মো. ফরহাদ হোসেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, "সাধারণত নামাজ ও খাবারের জন্য আমরা আধঘণ্টা সময় দিয়ে থাকি। যেহেতু আমরা এক ঘণ্টা সময় এগিয়ে নিয়েছি তারা যদি ১টায় খেতে যায় দেড়টার মধ্যে নামাজটা শেষ করে নেয়। তাহলে তিনি ৮টা থেকে ১টা পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্নভাবে পাঁচ ঘণ্টা কাজ করতে পারবে। আধঘণ্টা বিরতি নেয় বাকি কাজগুলো করবে। আমরা দুই ঘণ্টা আগে বাসায় ফিরতে পারছি। এটা আমাদের জন্য বড় অনুপ্রেরণা।
আমরা মনে হয় না কোন কাজ পেন্ডিং থাকবে এবং সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে কোনো অসুবিধা হবে না।"