অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

চা শ্রমিকদের ধর্মঘট অব্যাহত, মৌলভীবাজারে সড়ক অবরোধ


চা শ্রমিকদের ধর্মঘট
চা শ্রমিকদের ধর্মঘট

মজুরি বৃদ্ধির আন্দোলনের ১৭তম দিনেও ধর্মঘট অব্যাহত রেখেছেন বাংলাদেশের মৌলভীবাজারের চা-শ্রমিকরা। বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) সকাল থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত শ্রমিকরা ঢাকা-মৌলভীবাজার আঞ্চলিক মহাসড়কের বেরীর পার মোড়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।

জেলার দেওরাছড়া চা বাগান, প্রেমনগর চা বাগান, মৌলভী চা বাগান, মাজদিহি চা বাগান ও হামিদিয়া চা বাগানের কয়েক হাজার শ্রমিক একত্রিত হয়ে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে মৌলভীবাজার জেলা সদরে আসেন। এছাড়া আরও, ৯টি বাগানের শ্রমিকরা চা বাগানের ভেতর বিক্ষোভ করেছেন।

এদিকে, শ্রমিকরা যাতে কাজে যোগ দেন এ লক্ষ্যে, জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশ বিভিন্ন বাগানে গিয়ে পঞ্চায়েত কমিটির সঙ্গে বৈঠক করে কাজে যোগদানের আহ্বান জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের ১৬৭ চা বাগানে শ্রমিকের সংখ্যা দেড় লাখেরও বেশি। বর্তমানে দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করার দাবিতে আন্দোলন করছেন তারা।

গত ৯ আগস্ট এ আন্দোলন শুরু হয়। শুরুতে প্রথম কয়েকদিন কেবল ২ ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করা হয়। সে সময় মজুরি বৃদ্ধি ও মজুরি চুক্তি বাস্তবায়নের দাবিতে শ্রমিক ইউনিয়নগুলোর পক্ষ থেকে বাগান মালিকদের সাত দিনের সময় দেয়া হয়।

মালিক পক্ষ এই সময়ের মধ্যে বৈঠক বা সমঝোতায় না আসায় ১৩ আগস্ট থেকে লাগাতার পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালন শুরু করেন শ্রমিকরা। এরপর দফায় দফায় বৈঠক করেও এখন পর্যন্ত কোনো সঠিক সমাধানে যায়নি এই সংকট।

২ দফা মজুরি বাড়িয়ে ১৪৫ টাকা করা হলেও চা শ্রমিকরা তা প্রত্যাখান করেন।

এরপর গত ২১ আগস্ট রাতে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী আসন্ন দুর্গাপূজার আগে নতুন মজুরি ঘোষণা করবেন। তার আগ পর্যন্ত চলমান ১২০ টাকা মজুরি রেখেই কাজে যোগ দেয়ার অনুরোধ করা হয় চা শ্রমিকদের।

সেই প্রস্তাব মেনে প্রথমে আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেও একদিন পর আবারও কর্মবিরতিতে নামেন শ্রমিকরা।

তাদের দাবি তিনশ’ টাকা মজুরি দিতে হবে অথবা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে পরবর্তীতে মজুরি বৃদ্ধির সুস্পষ্ট ঘোষণা আসতে হবে।

XS
SM
MD
LG