যুক্তরাষ্ট্রের সরকার, কট্টরপন্থী প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এবং অন্যান্য ইরানি কর্মকর্তাদেরকে ভিসা দেয়া নিয়ে ইরানি আমেরিকান এবং অন্যদের চাপের মুখে পড়েছে। তারা, যক্তরাষ্ট্র সরকারকে বলছে যে, ইরানের কট্টরপন্থী প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এবং অন্যান্য ইরানি কর্মকর্তাদের যেন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা দেওয়া না হয় এবং তাদের নিরাপত্তাও না দেওয়া হয়। নিউইয়র্ক সিটিতে অনুষ্ঠেয় জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের আগামী অধিবেশনে তাদের যোগ দেয়ার কথা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রক ইঙ্গিত দিয়েছে যে, সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি অনুষ্ঠেয় জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে যোগ দেয়ার পরিকল্পনা করছে এমন ইরানিদেরকে ভিসা প্রদান থেকে বিরত থাকবে না পররাষ্ট্র মন্ত্রক।
ইরানের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। যুক্তরাষ্ট্রের উচিত রাইসি এবং তেহরান থেকে যেসব সরকারি কর্মকর্তা আসতে চায় তাদের ভিসার আবেদন প্রত্যাখ্যান করা। কারণ “আল-কায়েদার পর,গত ৫০ বছরে সবচেয়ে বেশি আমেরিকানের মৃত্যুর জন্য ইরানিরা দায়ী।” ভয়েস অফ আমেরিকাকে প্লেটকা একথা জানিয়েছেন।
এই মাসের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ বলেছে যে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টনকে হত্যার ষড়যন্ত্রের জন্য একজন ইরানি গুপ্তচরকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। ঐ ইরানির ধারণা,যে বিমান হামলার মাধ্যমে একজন প্রভাবশালী ইরানি জেনারেলকে হত্যা করেছিল, তার সঙ্গে জন বোল্টন-এর যোগসূত্র রয়েছে।
সন্দেহভাজন শাহরাম পোরসাফিকে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের সদস্য হিসেবে চিহ্নিত করেন। ভাড়াটে হিসেবে খুনের পরিকল্পনাকারী হিসেবে কাজ করার অভিযোগে তিনি বর্তমানে এফবিআই-এর গ্রেপ্তার তালিকায় রয়েছেন।
ইরান এই অভিযোগকে রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিহিত করেছে।
ক্যাম্পেইন ফর ইরান চেঞ্জ-এর সমন্বয়কারী এবং ইউরোপীয় ইরাকি ফ্রিডম অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি স্ট্রুয়ান স্টিভেনসন, স্কটসম্যান সংবাদপত্রের একটি কলামে লিখছেন , যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেদন্ট জো বাইডেন “তার মেরুদণ্ড আছে তা আবার বুঝতে পারবেন” এবং রাইসিকে ভিসা দেয়া উচিত নয়, এই মতের সাথে একমত হবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রকের ব্যুরো প্রধান নাইক চিং এ প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন।