লিবিয়ার রাজধানীতে রাতে তুমুল লড়াই আরম্ভ হয়ে তা শনিবার সকাল পর্যন্ত চলে। লড়াইয়ে পরস্পরবিরোধী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে ব্যাপক গুলিবিনিময় হয় এবং শহরের বিভিন্ন স্থানে একাধিক প্রচন্ড বিস্ফোরণের আওয়াজ শুনতে পাওয়া যায়।
রাজধানী ত্রিপোলি শহরের কেন্দ্রে সংঘর্ষ হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। লিবিয়ার সরকারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে রাজনৈতিক অচলাবস্থার মাঝে এমন ঘটনা ঘটল। এমন অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো ক্রমবর্ধমান হারে রাজধানীজুড়ে অবস্থান নেওয়া আরম্ভ করে।
অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া শহরের কেন্দ্রস্থলের ছবি ও ভিডিওগুলোতে দেখা যায় রাস্তা দিয়ে সামরিক যানবাহন ছুটে চলেছে, যোদ্ধারা গোলাগুলি করছে এবং স্থানীয় বাসিন্দারা গুলি থেকে বাঁচার চেষ্টা করছেন। তবে, রয়টার্স এই ছবি ও ভিডিওগুলো তাৎক্ষণিকভাবে যাচাই করতে পারেনি।
ত্রিপোলির কেন্দ্রস্থলের এক বাসিন্দা, আবদুলমেনাম বলেন, “এটি ভয়াবহ। সংঘাতের কারণে আমি আর আমার পরিবার ঘুমাতেই পারিনি। শব্দগুলো প্রচন্ড জোরালো ও ভয়াবহ ছিল। হঠাৎ যদি পালাতে হয় সেজন্য আমরা জেগে ছিলাম। এটা একটা ভয়াবহ অনুভূতি।”
লড়াই বা হতাহত সম্পর্কে স্বরাষ্ট্র বা স্বাস্থ্য মন্ত্রক তাৎক্ষণিকভাবে কোন মন্তব্য করেনি। সকালের শেষদিকে লড়াই বন্ধ হয়।
লিবিয়াতে আবদুলহামিদ আল-বেইবাহ এর অধীনে থাকা ত্রিপোলির জাতীয় ঐক্যের সরকার এবং ফাতহি বাশাঘা’র অধীনস্থ এক বিরোধী প্রশাসন মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। বাশাঘা’র প্রশাসনটিকে পূর্বাঞ্চল-ভিত্তিক সংসদ সমর্থন দিয়েছে।
বিবাদটি সংঘাতের মাধ্যমে সমাধানের যে কোন চেষ্টার বিরুদ্ধে, দেশটিতে অবস্থিত জাতিসংঘ মিশন এই সপ্তাহে সতর্ক করেছিল।