ইথিওপিয়ার টিগ্রায় অঞ্চলে “একটি কিন্ডারগার্টেনে আঘাত হানা” বিমানহামলার ঘটনায়, শনিবার নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা, ইউনিসেফ। ঐ হামলায় দুই শিশুসহ অন্তত চারজন নিহত হয়েছেন।
অঞ্চলটির দক্ষিণের সীমান্তে সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মাঝে লড়াই শুরু হওয়ার কয়েকদিনের মধ্যেই টিগ্রায়-এর রাজধানী মেকেলেতে শুক্রবারের ঐ বিমান হামলার ঘটনা ঘটে। এর মধ্য দিয়ে পাঁচমাস ধরে চলা যুদ্ধবিরতির অবসান হয়।
ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক, ক্যাথরিন রাসেল টুইটারে লেখেন, “ইউনিসেফ কিন্ডারগার্টেনে আঘাত হানা ঐ বিমানহামলার প্রতি কঠোর নিন্দা জানাচ্ছে … যার ফলে একাধিক শিশু নিহত হয়, এবং অন্যান্যরা আহত হয়।”
ঐ অঞ্চল নিয়ন্ত্রণকারী টিগ্রায় পিপল’স লিবারেশন ফ্রন্ট (টিপিএলএফ) জানায় যে, বিমানহামলাটি একটি কিন্ডারগার্টেন ধ্বংস করে দেয় এবং একটি বেসামরিক আবাসিক এলাকায় আঘাত হানে।তবে, সরকার এমন দাবি নাকচ করে দিয়েছে।
আদ্দিস আবাবা বলেছে যে, তারা শুধুমাত্র সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করেই হামলা চালিয়েছে এবং টিপিএলএফ এর বিরুদ্ধে বেসামরিক হতাহত সম্পর্কে মিথ্যা রটনার অভিযোগ করেছে।
মেকেলের আয়দার রেফারেল হাসপাতালের চিকিৎসা বিষয়ক প্রধান পরিচালক, কিবরম গেবরেসেলাসি এএফপি-কে বলেন যে, ঐ হামলায় চারজন নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে দুইটি শিশুও ছিল।আহত আরও নয়জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলেও জানান তিনি।
টিগ্রায়-টিভি নামের একটি স্থানীয় সম্প্রচার প্রতিষ্ঠান জানায় যে, নিহতের সংখ্যা বেড়ে সাতজন হয়েছে। তারা দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া বাচ্চাদের খেলার উপকরণসহ মাঠ-এর চিত্র সম্প্রচার করেছে। যা দৃশ্যত হামলার স্থল বলেই মনে হচ্ছে।
রাসেল জানান যে, ইথিওপিয়ার উত্তরাঞ্চলে ২১ মাস ধরে চলা যুদ্ধটির কারণে “শিশুদের সবচেয়ে বেশি মূল্য দিতে হচ্ছে।”
তিনি বলেন, “প্রায় দুইবছর ধরে ঐ অঞ্চলের শিশুরা ও তাদের পরিবার এই সংঘাতের যন্ত্রণা সহ্য করছে। এটির অবশ্যই অবসান হতে হবে।”