অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

অবৈধ ক্লিনিক বন্ধ করতে আবার অভিযান শুরু হবে: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর


অবৈধ ক্লিনিক বন্ধ করতে আবার অভিযান শুরু হবে: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
অবৈধ ক্লিনিক বন্ধ করতে আবার অভিযান শুরু হবে: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

অবৈধ ও অনিবন্ধিত ক্লিনিক এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো বন্ধে সোমবার (২৯ আগস্ট) থেকে আবারও অভিযান চালাবে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। রবিবার (২৮ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই সরকারি বিভাগের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির এ তথ্য জানান।

অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির জানান, “প্রথম দফায় অভিযান পরিচালনা শেষে, এখনও অসংখ্য অবৈধ বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়ে গেছে। সোমবার থেকে আবার অভিযান পরিচালনা করবো। যেভাবে তিন মাস আগে অভিযান পরিচালনা করেছি, এখনও সেভাবে অভিযান হবে।”

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জানান, “এখন থেকে তিন মাস আগে অবৈধ হাসপাতালগুলোতে অভিযান পরিচালনা করেছি। তখন বলেছিলাম তিন মাস পর আপনাদের অবহিত করবো। সেই লক্ষ্যে আপনাদের ডেকেছি।”

তিনি জানান, “লাইসেন্সবিহীন বা অবৈধ হাসপাতালে যদি বৈধ চিকিৎসকও চিকিৎসা সেবা দিতে যান, তাহলে তিনিও অবৈধ বলে বিবেচিত হবেন। তাদের দায় আমরা নেব না।”

অধ্যাপক কবির আরও জানা “এই মুহুর্তে আমাদের কাছে নতুন লাইসেন্সের জন্য পরিদর্শনের অপেক্ষায় আছে এক হাজার ৯৪৬ টি প্রতিষ্ঠান। আর, লাইসেন্স নবায়নের জন্য পরিদর্শনের অপেক্ষায় আছে দুই হাজার ৮৮৭টি প্রতিষ্ঠান। এ পর্যন্ত নতুন লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে এক হাজার ৪৮৯টি প্রতিষ্ঠানকে। লাইসেন্স নবায়ন হয়েছে দুই হাজার ৯৩০টি। নতুন লাইসেন্সের জন্য পরিদর্শন সম্পন্ন হয়েছে ৩৭৯টি । লাইসেন্স নবায়নের জন্য পরিদর্শন সম্পন্ন হয়েছে ১০৭৬টি এবং নতুন লাইসেন্সের জন্য আবেদন করে, অপেক্ষমান রয়েছে দুই হাজার বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার।”

তিনি বলেন, “লাইসেন্সের বর্তমান অবস্থা পর্যালোচনায় দেখা যাচ্ছে যে, সময় দেওয়ার পরও কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান লাইসেন্স করছে না এবং কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান লাইসেন্সের আবেদনও করছে না। এমনকি তারা লাইসেন্স ছাড়াই কার্যক্রম চালাচ্ছেন বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। বারবার সতর্ক করার পরও, কিছু প্রতিষ্ঠান প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংশোধন না করার ফলে আবেদন পেন্ডিং অবস্থায় আছে। এজন্য, বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের লাইসেন্স সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম ত্বরান্বিত করতে, স্থানীয় প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে অভিযান পরিচালনা জরুরি।”

XS
SM
MD
LG