অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ইউক্রেন বলছে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাছে নতুন করে আক্রমণ চালিয়েছে রাশিয়া


স্যাটেলাইট থেকে প্ল্যানেট ল্যাবস পিবিসি’র ধারণকৃত ছবি জোড়া লাগিয়ে তৈরি করা এই চিত্রটিতে, ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলের ঝাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ধোঁয়া উঠতে দেখা যাচ্ছে, ২৪ আগস্ট ২০২২।
স্যাটেলাইট থেকে প্ল্যানেট ল্যাবস পিবিসি’র ধারণকৃত ছবি জোড়া লাগিয়ে তৈরি করা এই চিত্রটিতে, ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলের ঝাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ধোঁয়া উঠতে দেখা যাচ্ছে, ২৪ আগস্ট ২০২২।

রবিবার দিনের শুরুর দিকে ইউক্রেনের ঝাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাছে রাশিয়া রকেট নিক্ষেপ করে ও কামানের গোলাবর্ষণ করে নতুন করে হামলা চালিয়েছে। ঐ স্থাপনাটি হামলার শিকার হয়ে তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ার ক্রমবর্ধমান শঙ্কার মধ্যেই, ইউক্রেনের কর্মকর্তারা হামলায় গুরুতর ক্ষতির খবর জানিয়েছেন।

ইউক্রেনের নিপ্রোপেটরভস্ক অঞ্চলের গভর্নর ভ্যালেনটিন রেজনিশেঙ্কো বলেন যে, রাতে ভারী গোলাবর্ষণে পারমাণবিক স্থাপনাটি থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত নিকোপোল এর অংশবিশেষ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। মারহানেটস নামে কাছের আরেক শহরে চালানো রকেট হামলায় ডজনখানেক বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

পারমাণবিক স্থাপনাটি থেকে ৪০ কিলোমিটার উজানে অবস্থিত ঝাপোরিঝিয়া শহরটিতেও আক্রমণ চালানো হয়। সেখানে নগর পরিষদের সদস্য অ্যানাতোলি কুরতেভ দুইজন আহত হওয়ার কথা জানিয়েছেন।

ইউরোপের বৃহত্তম এই পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে কামানের গোলা নিক্ষেপের জন্য, রাশিয়া এবং ইউক্রেন পরস্পরের বাহিনীকে দোষারোপ করেছে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান, এনেরগোঅ্যাটম শনিবার বলে যে, গত কয়েকদিন ধরে ঐ স্থাপনাটিতে রুশ সৈন্যরা “বারবার গোলাবর্ষণ” করেছে।

এমন দাবির বিপরীতে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক বলে যে, ইউক্রেনের বাহিনী গত একদিনে “ঐ বিদ্যুৎকেন্দ্রের এলাকায় তিনবার গোলাবর্ষণ করেছে”। এক বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রক বলে, “মোট ১৭টি গোলাবর্ষণ করা হয়”।

৪ মার্চ থেকে রুশ দখলে থাকা ঝাপোরিঝিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্রে কর্মরত এক প্রকৌশলী, ভিওএ-কে বলেন যে, রুশ বাহিনী ঐ স্থাপনাটির চত্ত্বরের ভেতরে ও আশেপাশে কামান ও ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপন করেছে।

দখলদার কর্তৃপক্ষের প্রতিশোধের শঙ্কায় ঐ প্রকৌশলীর পরিচয় গোপন রাখা হচ্ছে। ঐ প্রকৌশলী ইউক্রেনের এমন দাবিকে সমর্থন করেছেন যে, ঐ বিস্ফোরণগুলোর জন্য রাশিয়া নিজেই দায়ী।

XS
SM
MD
LG