অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ক্ষমতাধর নেতা আল-সদরের রাজনীতি ছাড়ার ঘোষণা ইরাকে অনিশ্চয়তা বাড়িয়েছে


রাকের নাজাফ-এ এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন ইরাকের ক্ষমতাধর শিয়া ধর্মগুরু মোকতাদা আল-সদর, ১৮ নভেম্বর ২০২১।
রাকের নাজাফ-এ এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন ইরাকের ক্ষমতাধর শিয়া ধর্মগুরু মোকতাদা আল-সদর, ১৮ নভেম্বর ২০২১।

ইরাকের ক্ষমতাধর শিয়া মুসলিম ধর্মগুরু মোকতাদা আল-সদর সোমবার বলেন যে, তিনি রাজনীতি ছেড়ে দিচ্ছেন এবং তার সংগঠনটিও বন্ধ করে দেবেন। এক সমাধানহীন রাজনৈতিক অচলাবস্থার কারণে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান তিনি। এই সিদ্ধান্ত দেশটিতে অস্থিতিশীলতা বৃদ্ধি করতে পারে।
কোন দফতরগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে, সে বিষয়ে তিনি বিস্তারিত কিছু বলেননি। তবে তিনি বলেন যে, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো চালু থাকবে।

সদর এর আগেও রাজনীতি বা সরকার থেকে সরে দাঁড়াবেন বলে বলেছিলেন এবং তার প্রতি অনুগত আধাসামরিক বাহিনীগুলো ভেঙে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তার পরও, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে তার ব্যাপক নিয়ন্ত্রণ থেকে গেছে এবং এখনও হাজার হাজার সস্যের একটি আধাসামরিক বাহিনী রয়েছে তার।

একই ধরণের ঘোষণা দেওয়ার পরও, বার বার তিনি রাজনীতিতে ফিরে এসেছেন। তবে, ইরাকের চলমান রাজনৈতিক অচলাবস্থাটির সমাধন, অতীতের স্থবির সময়গুলোর চাইতে বেশি কঠিন।

সদর ও তার বিরোধী শিয়াদের মধ্যকার বর্তমান অচলাবস্থা, ইরাককে দীর্ঘতম সময় ধরে সরকারহীন করে রেখেছে।

গত অক্টোবরের নির্বাচনে সদরের দল, বেশিরভাগ আসনে জয়ী হয়। তবে, তার পছন্দমত সরকার গঠনে ব্যর্থ হওয়ার পর ,জুন মাসে তিনি সংসদ থেকে তার আইনপ্রণেতাদের প্রত্যাহার করে নেন। তখন তিনি ইরান ঘনিষ্ঠ শিয়াদের সরকারে রাখার বিষয়ে বিরোধিতার মুখে পড়েন।

পরে, এই হঠকারী ধর্মীয় নেতার সমর্থকরা বাগদাদে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন দপ্তর রয়েছে এমন এলাকার দখল নেন। সে সময় থেকে তারা সংসদও দখল করে রেখেছে। যার ফলে নতুন প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন প্রক্রিয়া থমকে আছে।

এখন সদর জোর দাবি করছেন যে, নির্ধারিত সময়ের আগেই নির্বাচন দিতে হবে এবং সংসদ ভেঙে দিতে হবে। তিনি বলছেন যে, ২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র আক্রমণ করার পর থেকে ক্ষমতায় আসা কোন রাজনীতিবিদই আর কোন দায়িত্বে থাকতে পারবেন না।

সোমবারের ঘোষণার ফলে এমন আশঙ্ক দেখা দিয়েছে যে, সদরের সমর্থকরা নেতার নিয়ন্ত্রণের বাইরে গিয়ে তাদের প্রতিবাদের মাত্রা বৃদ্ধি করতে পারে। যার ফলে আরও অস্থিতিশীল হয়ে উঠতে পারে ইরাক।

XS
SM
MD
LG