প্রভাবশালী শিয়া ধর্মগুরুর রাজনীতি থেকে পদত্যাগ করার ঘোষণার পর, বাগদাদে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। এর পর, মঙ্গলবার দেশটিতে বিমান চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে ইরান, ইরাকের সাথে তার স্থল সীমান্ত বন্ধ করে দেয়।
একজন উর্ধ্বতন চিকিৎসা কর্মকর্তার মতে, আগের দিন সহিংসতা শুরু হওয়ার পর, মঙ্গলবার ইরাকিদের মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ২০-এ উন্নীত হয়েছে।
ইরাকের সামরিক বাহিনী বলেছে,ব্যাপকভাবে সুরক্ষিত গ্রিন জোনে ৪টি রকেট নিক্ষেপ করা হয়। এখানে ইরাক সরকারের দপ্তরগুলো রয়েছে। সেখানে রাতে ইরাকি ধর্মগুরু মুকতাদা আল-সদরের অনুগত মিলিশিয়া এবং ইরাকি নিরাপত্তা বাহিনীর সশস্ত্র সংঘর্ষ হয়।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন বলেছে,ইরাকি শহরগুলোতে অস্থিরতা দেখা দেওয়াায় এবং ‘কারফিউ’ জারি করায় সীমান্ত বন্ধ করা হয়েছে। টেলিভিশনে ইরানের নাগরিকদের ইরাক ভ্রমণ না করার আহবান জানানো হয়। তখন,ইরাকে থাকা ইরানের শিয়া তীর্থ যাত্রীদের ইরাকের এক শহর থেকে অন্য শহরে ভ্রমণ না করতেও আহবান জানানো হয়।
এই সিদ্ধান্তটি এমন সময় নেওয়া হলো যখন, লাখ লাখ ইরানি, শিয়া ধর্মাবলম্বীদের জন্য পবিত্র স্থানগুলোতে বাৎসরিক তীর্থযাত্রার জন্য ইরাক ভ্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছিল।
ইরাকে চলমান অস্থিরতার কারণে মঙ্গলবার দুবাইয়ের বিমান সংস্থা এমিরেটস বাগদাদে তাদের দূরপাল্লার বিমান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। বিমান সংস্থাটি বলেছে যে তারা “নিবিড়ভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।”
বুধবার থেকে বিমান চলাচল আবার চালু হবে কি-না বিমান সংস্থাটি সে সম্পর্কে কিছু বলেনি।
ইরাকের সামরিক বাহিনী দেশব্যাপী কারফিউ ঘোষণা করেছে এবং দেশটির তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী সহিংসতার প্রেক্ষাপটে মন্ত্রিসভার অধিবেশন স্থগিত করেছেন। চিকিৎসা কর্মকর্তারা বলেছেন, গুলি, কাঁদানে গ্যাস এবং দাঙ্গা পুলিশের সাথে শারীরিক সংঘর্ষে কয়েক ডজন বিক্ষোভকারী আহত হয়েছে।
|
| |
| ||
|
|
|