অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ইরাকি ধর্মগুরুর সমর্থকরা গ্রিন জোন ত্যাগ করার পর বাগদাদে শান্তি ফিরে এসেছে


ম্যাক্সার টেকনোলজিস দ্বারা প্রদত্ত এই স্যাটেলাইট ছবিটিতে বাগদাদে অজানা সৈন্যের সমাধি এবং ইরাকের সংসদ ভবনের কাছে ছোট ছোট আগুন দেখা যাচ্ছে। ছবিটি ৩০ আগস্টের। তখন মুক্তাদা আল-সদর তার সমর্থকদের রাজধানীর সরকারি কোয়ার্টার থেকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন।

মঙ্গলবার বিকেলে শিয়া ধর্মগুরু মুকতাদা আল-সদর বলেন, তার সমর্থকেরা একটি “শান্তিপূর্ণ বিপ্লব” পরিচালনা করছে; তিনি তাদেরকে বলেন যে, অকুস্থল ত্যাগ করার জন্য তাদের হাতে এক ঘণ্টা সময় আছে। এ ঘোষণার পর তার হাজার হাজার সমর্থক বাগদাদের গ্রিন জোন ত্যাগ করে।

দেশের রাজনৈতিক অচলাবস্থার কারণে সদরের রাজনীতি থেকে অবসর নেয়ার ঘোষণা দেয়ার পরে এই সপ্তাহে বিক্ষোভ শুরু হয়।

মঙ্গলবার বিকেলে তিনি শিয়াদের পবিত্র শহর নাজাফ থেকে তার সমর্থকদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন যে, তিনি সহিংস বিপ্লবের অংশ হবেন না এবং তিনি তার হাত ইরাকিদের রক্তে রঞ্জিত করতে চান না।

দিনে আরো আগের দিকে সদরের সমর্থকরা প্রচন্ড গুলি চালায় এবং হুশদ আল-শাবি মিলিশিয়ায় তাদের প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে রকেট চালিত গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এর ফলে অসংখ্য হতাহতের ঘটনা ঘটে। আরবের গণমাধ্যম জানিয়েছে,২ দিনের সংঘর্ষে ৩০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।

প্যারিস বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক খাত্তার আবু দিয়াব।

তিনি ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন, শিয়াদের ইমাম আহাতুল্লাহ খাজেম আল হায়েরি সদরের প্রতি তার সমর্থন প্রত্যাহার করার পর সদর তার সমর্থকদেরকে তাদের অবস্থান থেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন। আহাতুল্লাহ খাজেম আল হায়েরি ইরানের পবিত্র শহর কোমে অবস্থান করেন।

আবু দিয়াব বলেন, “সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রথমবারের মতো মুকতাদা সদর ইরাকের রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে সরে আসার ঘোষণা দিয়েছেন- ব্যাপারটি এমন নয়। তিনি রাজনীতির অঙ্গন থেকে সরে আসার কথা বললেও তার সমর্থকরা তাকে পরিত্যাগ করবেন- এমন সম্ভাবনা নেই।”

সদরের বক্তৃতার পর ইরানপন্থী হুশদ মিলিশিয়া গোষ্ঠীর প্রধান হাদি আল-আমেরি “সংলাপের” আহ্বান জানিয়ে একটি বিবৃতি জারি করেছেন।

সোমবার দেশব্যাপী জারি করা কারফিউ সদরের নির্দেশে প্রত্যাহার করা হয়।

XS
SM
MD
LG