সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, “ওএমএস ও খাদ্য বান্ধব কর্মসূচিতে প্রতি মাসে তিন লাখ মেট্রিক টন চাল দেয়া হবে। বর্তমানে প্রায় বিশ লাখ টন খাদ্য শস্য মজুত আছে। ভবিষ্যতে আরও গম এবং চাল আমদানির পরিকল্পনা রয়েছে।”
খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “চালের কোনো সংকট নেই, প্রতিটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের দিকে তাকালেই দেখা যায় প্রচুর পরিমাণ চাল রয়েছে। তবে, কেউ অস্বাভাবিক মুনাফা করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।”
পর্যাপ্ত চাল মজুত থাকার পরও কেন আমদানি করা হচ্ছে? এ প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী জানান, “প্রতিবছর আবাদী জমির পরিমাণ কমছে, চাষীরা আম আনারসসহ বিভিন্ন ফসলের দিকে ঝুঁকছে। এই কারণে , ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা হিসেবে চাল এবং গম আমদানি করা হচ্ছে।”
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার জানান, “ওএমএসের মাধ্যমে প্রতি জনের কাছে ৫ কেজি চাল ও ২ কেজি আটা বিক্রি করা হচ্ছে। ৫০ লাখ হতদরিদ্র মানুষকে ১৫ টাকা কেজি দরে, প্রতি মাসে ৩০ কেজি চাল দেয়া হবে। আর ট্রেডিং করপোরেশন অফ বাংলাদেশ (টিসিবি) মাধ্যমে ভোজ্যতেল, চিনি ও মসুর ডালের পাশাপাশি, কার্ডধারীরা ৩০ টাকা কেজি দরে ১০ কেজি করে সাশ্রয়ী মূল্যে চাল কিনতে পারবেন। আগামী সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর এই তিন মাস খাদ্য বান্ধব কর্মসূচিতে চাল বিতরণ করা হবে।”