পাকিস্তানের স্বাস্থ্যকর্মীরা বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, দেশটির রেকর্ড ভঙ্গকরা সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের অঞ্চলগুলোতে, পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। বন্যায় ঘরবাড়ি হারানো কয়েক লাখ মানুষের জন্য কর্তৃপক্ষ বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
বন্যায় বাস্তুচ্যুত প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ ত্রাণ শিবিরে বসবাস করছে।
চিকিৎসকরা বলছেন, প্রাথমিকভাবে তারা দেখেছে যে, রোগীদের বেশিরভাগই বন্যা কবলিত হওয়ার কারণে মানসিক আঘাতে ভুগছেন। এখন তারা ডায়রিয়া, ত্বকের সংক্রমণ এবং অন্যান্য পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হাজার হাজার মানুষের চিকিৎসা করছেন। বন্যা কবলিত এলাকায় অনেক গর্ভবতী নারী বসবাস করছেন, এখন তাদের ঝুঁকি বাড়ছে।
জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিলের মতে, পাকিস্তানে ৬৪ লাখ বন্যার্ত মানুষের জন্য মানবিক সহায়তা প্রয়োজন। সংস্থাটি বলেছে, বন্যাকবলিত এলাকার প্রায় ৬ লাখ ৫০ হাজার গর্ভবতী নারী রয়েছেন। এদের মধ্যে ৭৩ হাজার নারীর সম্ভাব্য প্রসব সময় আগামী মাসে। তাদের জন্য মাতৃস্বাস্থ্য পরিষেবার প্রয়োজন।
কয়েকদিন আগে পাকিস্তান এবং জাতিসংঘ, পাকিস্তানে জরুরি তহবিলের জন্য ১৬ কোটি ডলারের একটি আবেদন জানিয়েছে। টুইটারে বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ, ৫ কোটি ডলার মূল্যের ত্রাণ সামগ্রীর প্রথম চালান পাঠানোর জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি, তিন কোটি ডলার ত্রাণ সহায়াতার ঘোষণা দেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রকেও ধন্যবাদ জানান।
এ পর্যন্ত তুরস্ক, চীন, কাতার এবং সৌদি আরবসহ বেশ কয়েকটি দেশ পাকিস্তানে বন্যা দুর্গতদের জন্য বিমানভর্তি ত্রাণ সামগ্রি পাঠিয়েছে। প্রাথমিক সরকারি প্রাক্কলন অনুসারে, বন্যায় এক হাজার কোটি ডলারের ক্ষতি হয়েছে ।