অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

আফগানিস্তানে মসজিদে বোমা হামলা, তালিবান সমর্থক ইমামসহ নিহত ১৮ জন


হেরাতের গুজারগাহ মসজিদে শুক্রবার জুমার নামাজের সময় এক বিস্ফোরণের পর, সড়কে পাহারারত এক তালিবান যোদ্ধা; ২ সেপ্টেম্বর ২০২২।

আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলে জনাকীর্ণ এক মসজিদে শুক্রবার আত্মঘাতী বোমাহামলা চালানো হয়েছে। এ ঘটনায় অন্তত ১৮ জন মুসল্লী নিহত হন, যাদের মধ্যে ক্ষমতাসীন তালিবানের প্রতি অনুগত এক বিশিষ্ট ইমামও রয়েছেন।

পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে, যখন শক্তিশালী বোমাটি বিস্ফোরিত হয়, তখন এ ঘটনায় নিহত প্রভাবশালী ইমাম মুজিবুর রহমান আনসারি গুজারগাহ মসজিদে জুমার নামাজে ইমামতি করছিলেন।মসজিদটি ইরান সীমান্তবর্তী আফগানিস্তানের হেরাত শহরে অবস্থিত।

স্থানীয় পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এই বোমাহামলায় অন্তত ২৪ জন মুসল্লি আহত হয়েছেন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

তালিবানের প্রধান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ, আনসারির উপর এই মারাত্মক হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। দোষীদের বিচারের সম্মুখীন করার অঙ্গীকার করেন তিনি। জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ টুইটারে লেখেন, “দেশের সাহসী ও প্রভাবশালী মাওলানা এক কাপুরুষোচিত নির্মম আক্রমণে শহীদ হয়েছেন।”

আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত সাবেক সরকারের একজন সরব সমালোচক ছিলেন আনসারি। গত দুই দশক ধরে দেশটিতে পশ্চিমা সামরিক বাহিনীর মোতায়েনকে অনুমোদন দেওয়ার কারণে সরকারের সমালোচনা করেছিলেন তিনি। তৎকালীন তালিবান বিদ্রোহীদের এক জোরালো সমর্থক হিসেবে তাকে দেখা হত। গত বছর তালিবান ক্ষমতায় ফিরে আসার পর, বিরোধিতাকারীদের শিরশ্ছেদ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি।

শুক্রবারের এই মারাত্মক বোমাহামলার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে কেউ দায় স্বীকার করেনি। তবে, সন্দেহ করা হচ্ছে, ইসলামিক স্টেট-খোরাসান প্রভিন্স (আইএসআইএস-কে) নামে পরিচিত, স্বঘোষিত ইসলামিক স্টেট আফগানিস্তান শাখা এ ঘটনায় জড়িত থাকতে পারে।

ঐ সন্ত্রাসী‍গোষ্ঠীটি সাম্প্রতিক মাসগুলোতে আফগানিস্তানের মসজিদগুলোতে ধারাবাহিক হামলার পরিকল্পনার কৃতিত্ব দাবি করেছে। হামলাগুলোতে তালিবানপন্থী ধর্মীয় নেতাসহ বহু মানুষ নিহত হন।


XS
SM
MD
LG