তাইওয়ানের জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক চীনের সামরিক কর্মকাণ্ড বিষয়ে আরও তথ্য প্রকাশ করা আরম্ভ করেছে। তাইওয়ানের আকাশসীমায় চীনের অনুপ্রবেশের সংখ্যা আগস্ট মাসে রেকর্ড ছুঁয়েছে। ঐ মাসে ৩০০ বার চীনের বিমান তাইওয়ানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে। প্রকাশ্য তথ্য থেকে বিষয়গুলো জানা গিয়েছে।
২০২০ সাল থেকেই তাইওয়ানের সামরিক বাহিনী তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা চিহ্নিতকরণ এলাকায় (এডিআইজেড) উড্ডয়ন করা চীনা বিমানের বিষয়ে তথ্য প্রকাশ করে আসছে। এই এলাকার মধ্যে তাইওয়ান ও চীনের ভূমি ও সাগরের এলাকাও রয়েছে। সপ্তাহে হাতে গোনা কয়টি থেকে আরম্ভ করে উত্তেজনাকর সময়ে দিনেই কয়েকডজন বিমান উড্ডয়নের মত ঘটনা ঘটেছে।
শুধু আগস্ট মাসেই এডিআইজেড ভুক্ত এলাকাগুলোতে ৪৪৪টি বিমানকে চিহ্নিত করা হয়। এটি গত অক্টোবরের সর্বশেষ রেকর্ড পরিমান ১৯৬টি বিমানের উড্ডয়নের ঘটনার দ্বিগুণেরও বেশি। তাইওয়ানের এডিআইজেড লঙ্ঘন চিহ্নিতকরণ ডেটাবেজ এর প্রকাশ্য তথ্য বিশ্লেষণ করে এসব জানা গিয়েছে।
তবে, তাইওয়ানের জন্য আরও আশঙ্কার বিষয় হল, তাদের আকাশসীমার ভেতরে বিমান প্রবেশের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়া। এই সীমাটি তাইওয়ান প্রণালীতে কল্পিত “মধ্যবর্তী রেখা” বরাবর নির্ধারণ করা আছে, যা কিনা প্রণালীটিকে দুইভাগে বিভক্ত করে। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২২ এর জুলাইয়ের শেষ নাগাদ, চীন ঐ মধ্যবর্তী রেখাটি মাত্র ২৩ বার অতিক্রম করে বলে উন্মুক্ত তথ্য থেকে জানা যায়। সেই তুলনায় আগস্টে ৩০০ বার এমন ঘটনা ঘটে।
মধ্যবর্তী ঐ রেখাটিকে দীর্ঘকাল ধরেই সংঘাত এড়ানোর একটি পন্থা হিসেবে দেখা হয়। কিন্তু চীন ঐ রেখাটিকে মুছে ফেলা আরম্ভ করেছে বলে, বনি গ্লেসার ইমেইলের মাধ্যমে ভিওএ-কে জানান। গ্লেসার, জার্মান মার্শাল ফান্ড অফ দ্য ইউনাইটেড স্টেটস এর এশিয়া কার্যক্রমের পরিচালক।
গ্লেসার বলেন, “পিআরসি (চীন) প্রণালীর মধ্যবর্তী রেখাটি মুছে দিয়েছে। নৌবাহিনীর জাহাজ ও বিমান প্রায় প্রতিদিনই সেটি অতিক্রম করছে। তারা তাইওয়ানের পাইলটদের ও রক্ষণাবেক্ষণ ক্রুদের ক্লান্ত করে ফেলতে চাচ্ছে এবং দেশটির জনগণের মধ্যে মানসিক হতাশার অনুভুতি তৈরি করতে চেষ্টা করছে।”