অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

সোমালিয়ায় আল-শাবাবের হামলায় ২২ জন নিহত


সোমালিয়ায় হিরাণ অঞ্চলের হালগান গ্রামে পায়ে হেঁটে টহল দিচ্ছে আফ্রিকান ইউনিয়ন মিশনের সৈন্যরা। ১০ জুন, ২০১৬ (ফাইল ছবি)
সোমালিয়ায় হিরাণ অঞ্চলের হালগান গ্রামে পায়ে হেঁটে টহল দিচ্ছে আফ্রিকান ইউনিয়ন মিশনের সৈন্যরা। ১০ জুন, ২০১৬ (ফাইল ছবি)

সোমালিয়ার মধ্যাঞ্চলীয় হিরানের কর্তৃপক্ষ বলছে, আল-শাবাব ইসলামি জঙ্গিরা ওই অঞ্চলে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর প্রাণঘাতী হামলা চালিয়ে কমপক্ষে ২২ জনকে হত্যা করেছে।

শনিবার ভোরে ইসলামপন্থী জঙ্গি গোষ্ঠীটি হিরান অঞ্চলে খাদ্য বহনকারী একটি গাড়ি বহরকে আক্রমণ করে, হামলা চালায়। ওই হামলায় বেসামরিক নাগরিকদের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। হামলার পর ভিওএ-এর সাথে টেলিফোনে এ খবর নিশ্চিত করেছেন হিরশাবেল রাজ্যের কর্মকর্তারা।

ওই অঞ্চলের রাজধানী বেলেদওয়েন এবং মাহাস জেলার মধ্যবর্তী এক সড়কে ওই হামলার ঘটনাটি ঘটে।

কর্মকর্তারা বলছেন, গোষ্ঠীটি একটি মানবিক ত্রাণ বহনকারী গাড়ী বহর আক্রমণ করে ১৭ জনকে হত্যা করে। পরবর্তীতে, বেসামরিক উদ্ধারকারীদের লক্ষ্যবস্তু করে পুঁতে রাখা ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে আরও পাঁচজন নিহত হয়।

সোমালি সরকার এক বিবৃতিতে এই হামলার তীব্র নিন্দা করেছে, এবং একে "বর্বর ও জঘন্য" অপরাধ বলে বর্ণনা করেছে।

সরকার বলেছে, তারা স্থানীয় সম্প্রদায়ের পাশে আছে, এবং "নিষ্ঠুর" এই আক্রমণের কঠোর জবাব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

আল-শাবাব এই প্রাণঘাতী হামলার দায় স্বীকার করেছে, এবং তাদের হামলায় ২০ স্থানীয় মিলিশিয়া নিহত হয়েছে বলে দাবী করেছে।

মোগাদিশুর নিরাপত্তা বিশ্লেষক আব্দুল করিম আবদুল্লে ভিওএ-কে বলেছেন, স্থানীয় জনগণ আল-শাবাবের শান্তি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার প্রতিক্রিয়ায় এই হামলা চালানো হয়েছে। তিনি বলেন, শুক্রবারের হামলার উদ্দেশ্য ছিল, তাদের প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যানের প্রতিশোধ হিসেবে সম্মিলিতভাবে শাস্তি দিয়ে বাসিন্দাদের প্রস্তাবটি গ্রহণ করতে বাধ্য করা।

আল-শাবাব ২০০৭ সাল থেকে সোমালিয়ায় বিদ্রোহ চালাচ্ছে এবং দেশটিতে সোমালি সরকার ও আফ্রিকান ইউনিয়ন শান্তিরক্ষীদের সাথে তারা লড়াই করছে।

গত মাসেও, রাজধানী মোগাদিশুতে প্রায় ৩০ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে একটি হোটেল অবরোধ করে রেখে, হামলা চালায় আল-শাবাব। ওই হামলায়, ২১ জন নিহত এবং ১০০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছিল।

XS
SM
MD
LG