অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

৩৮ বিলিয়ন ডলারের নিচে নামছে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ


বাংলাদেশ ব্যাংক ভবন। (ফাইল ছবি)
বাংলাদেশ ব্যাংক ভবন। (ফাইল ছবি)

আমদানিতে কড়াকড়ি সত্ত্বেও, চাপের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। এলসি কেনার জন্য ডলার বিক্রির চাপ, ভ্রমণ, চিকিৎসার খরচ এবং বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি মেটাতে ব্যক্তিগত চাহিদা বৃদ্ধির কারণে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নেমে যাচ্ছে ৩৮ বিলিয়ন (তিন হাজার আটশ’ কোটি) ডলারের নিচে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা জানান, “এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন (এসিইউ)-এর জুলাই-আগস্টের জন্য বকেয়া ১৭৫ কোটি ডলার আমদানি বিল পরিশোধের পর, বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তিন হাজার ৮০০ কোটি ডলারে নামবে।”

তিনি বলেন, “আগামীকালের ( ৫ সেপ্টেম্বর) মধ্যে এই ঋণ পরিশোধ করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তখন বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়াবে তিন হাজার ৭৫০ কোটি ডলারে।”

গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত (১ সেপ্টেম্বর ২০২২) বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল তিন হাজার ৯৫০ কোটি ডলার। বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করছে। গত বৃহস্পতিবারও কয়েকটি ব্যাংকের কাছে সাত কোটি ৬০ লাখ ডলার বিক্রি করা হয়েছে। সর্বমোট, দুই মাসে কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ২৫৭ কোটি ডলার বিক্রি করেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান বলেন, “রেমিট্যান্স বাড়লেও, ডলার বিক্রি অব্যাহত থাকায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমেছে। বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে, রিজার্ভ তিন হাজার ৮০০ কোটি ডলারে নেমে গেলেও কোনো সমস্যা নেই। কারণ, এই রিজার্ভ দিয়ে ছয় মাসের বেশি আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।”

তিনি বলেন, “আমদানি কমছে; রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বাড়ছে। এ অবস্থায় মনে হচ্ছে আগামী দিনে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়বে।”

কেন্দ্রীয় ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রার বাজার স্থিতিশীল করতে, ২০২১-২২ অর্থবছরে রিজার্ভ থেকে ৭৬৭ কোটি ডলার বিক্রি করেছে। বাংলাদেশ এর আগে, এক অর্থবছরে রিজার্ভ থেকে এত বেশি পরিমাণ ডলার বিক্রি করেনি।এছাড়া, আগের অর্থবছরে (২০২০-২১), বৈদেশিক মুদ্রার বাজার স্থিতিশীল রাখতে, বাংলাদেশ ব্যাংক রেকর্ড ৮০০ কোটি ডলার কিনেছিল।

XS
SM
MD
LG