বিবিসি-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইউক্রেনের ফার্স্ট লেডি উল্লেখ করেন যে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণটি ইউরোপ জুড়ে জ্বালানীর মূল্য বৃদ্ধি করেছে, কিন্তু তার নিজের দেশকে এর আরও অতিরিক্ত একটি মূল্য পরিশোধ করতে হয়। সাক্ষাৎকারটি রবিবার সম্প্রচারিত হয়।
লরা কুয়েন্সবার্গ-কে ওলেনা জেলেন্সকা বলেন, “আমি বুঝি যে পরিস্থিতি খুবই কঠিন…ইউক্রেনেও মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে তার সাথে আমাদের মানুষজন মারাও যাচ্ছে। … তাই আপনারা যখন আপনাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বা পকেটের প্রতিটি পয়সা গুনছেন, আমরাও ঠিক একই কাজ করছি এবং [তারই সাথে] আমাদের হতাহতদেরও গুনতে হচ্ছে।”
এদিকে ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক রবিবার টুইটারের মাধ্যমে এক গোয়েন্দা তথ্যে জানায় যে, “রুশ বাহিনীর ইউক্রেনে মনোবল ও শৃঙ্খলা সমস্যায় ভোগা অব্যাহত রয়েছে। যুদ্ধজনিত ক্লান্তি ও নিহতের উঁচু সংখ্যা ছাড়াও, মোতায়েন করা রুশ সৈন্যদের মূল অভিযোগগুলোর একটি খুব সম্ভবত এখনও তাদের বেতন পরিশোধের সমস্যা।”
ওদিকে, শনিবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) এক উচ্চপদস্থ নেতা বলেন যে ইউক্রেনে যুদ্ধের কারণে রাশিয়া ও পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে তীব্রতর হতে থাকা জ্বালানী যুদ্ধের মধ্যে, রাশিয়া যদি গ্যাস সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে তা মোকাবেলা করতে ইউরোপ “ভালোভাবেই প্রস্তুত” রয়েছে। তিনি এর জন্য তাদের জ্বালানী মজুদের সক্ষমতা ও জ্বালানী সাশ্রয়ের পদক্ষেপগুলোকে কৃতিত্ব দেন।
ইতালীতে এক অর্থনৈতিক সম্মেলনের পার্শ্ববৈঠকে ইইউ-এর অর্থনীতি বিষয়ক কমিশনার, পাওলো জেনটিলোনি সাংবাদিকদের বলেন, “রাশিয়ার গ্যাসকে চরম এক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার প্রতিরোধ করতে আমরা বেশ ভালোভাবেই প্রস্তুত রয়েছি। আমরা পুতিনের সিদ্ধান্তে ভীত নই, আমরা চাই রাশিয়া যাতে তাদের চুক্তির প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে [তা বাস্তবায়ন করে], কিন্তু তারা যদি তা না করে, আমরা তাতে সাড়া দিতে প্রস্তুত।”