সোমবার চীন ওয়াশিংটনের বিরুদ্ধে এমন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটারে অবৈধভাবে প্রবেশের অভিযোগ করেছে যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলেন যে তারা সামরিক গবেষণা করে। উভয় সরকার একে অপরের বিরুদ্ধে অনলাইন গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ এনেছে।
ন্যাশনাল কম্পিউটার ভাইরাস ইমার্জেন্সি রেসপন্স সেন্টার ঘোষণা করেছে, জুন মাসে নর্থওয়েস্টার্ন পলিটেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি কম্পিউটার ব্রেক-ইন রিপোর্ট করেছে। তারা বলেছে, সেন্টার একটি বাণিজ্যিক নিরাপত্তা প্রদানকারী কোম্পানি কুইহু ৩৬০ প্রযুক্তি কোম্পানির সাথে একত্রে কাজ করে জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থায় হামলার সন্ধান করেছে তবে এটি কীভাবে করা হয়েছিল তা জানায়নি।
সাইবার যুদ্ধ সংক্রান্ত গবেষণায় রাশিয়ার পাশাপাশি চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্বব্যাপী অগ্রণী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
চীন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ে, জ্বালানি ক্ষেত্রে ও ইন্টারনেট কোম্পানি এবং অন্যান্য লক্ষ্যবস্তুতে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ এনেছে। ওয়াশিংটন বেইজিং-এর বিরুদ্ধে বাণিজ্যের গোপন মূলমন্ত্র চুরির অভিযোগ করেছে এবং চীনা সামরিক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ ঘোষণা করেছে।
বেইজিং-এর আমেরিকান দূতাবাসকে মন্তব্য করার অনুরোধ জানালে তারা তাৎক্ষণিকভাবে কোনো সাড়া দেয়নি।
২০২০ সালে কুইহু-৩৬০ এর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৯-১৯ সালে চীনা কোম্পানি এবং সরকারি সংস্থাগুলোর ওপর আক্রমণে ব্যবহৃত হ্যাকিং সরঞ্জামগুলোকে উইকিলিকস দ্বারা প্রকাশ করা সিআইএ সরঞ্জামগুলোর কোডের সাথে তুলনা করে সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সিতে সনাক্ত করা হয়েছিল।